মনোযোগ দিয়ে একটি কবিতা পড়ছিলেন নাবহান সাহেব ।হঠাত একটা শব্দে থেমে গেলেন ।শব্দটার অর্থ তিনি জানেন না ।উনি একজন লেক্সিকোগ্রাপার । কোন শব্দের অর্থ না জানার ঘটনা উনাকে অনেক পীড়া দেয় ।তাই একটি ডিকশনারি নিয়ে উনে শব্দটার খুঁজতে লাগলেন ।‘ন’ দিয়ে শুরু শব্দটা ।উনি খুঁজতে খুঁজতে হঠাত চাপা কান্নার আওয়াজ পেলেন ।উনি লেক্সিকোগ্রাপার বলেই শব্দের সুখ-দুঃখ উনি বুঝেন ।এবং হাঁসি-কান্নার আওয়াজ পান ।তাই তিনি কয়েকটা পাতা পেছনে এলেন ।এবার আরো স্পষ্ট আওয়াজ শুনতে পেলেন । আরো দু-এক পাতা পেছনে আসতেই উনি কান্নারত শব্দটা (ধর্ষণ) খুঁজে পেলেন ।
নাবহান সাহেব- কি ব্যাপার ? কাঁদছ কেন ?
কান্নারত শব্দ- খবরের কাগজে চোখ বুলান হয় ?
নাবহান সাহেব- হ্যাঁ হয় ।খবরের কাগজ পড়ে তুমি কাঁদছ(হাঁসি)?
কান্নারত শব্দ- আপনি আমার দুঃখ বুঝেই হাঁসলেন ? অন্তত আপনারা আমাদের নিয়ে উপহাস না করেন ।
নাবহান সাহেব- সর্যি । নাহ !। তুমি তো সবসময়ই গুমরে গুমরে কাঁদ ।তবে আজ উচ্চস্বরে কাঁদছ ?
কান্নারত শব্দ- হ্যাপি ম্যাডাম আমাকে ধর্ষণ করেছে ।
নাবহান সাহেব- তুমি তো শব্দ ? তোমাকে আবার কেমনে ধর্ষণ করলো ?
কান্নারত শব্দ- হ্যাঁ । আমাকেই ধর্ষণ করেছে । আমার অর্থকে ধর্ষণ করেছে । আরো ধর্ষণ করেছে যারা আজ অবধি ধর্ষিত হয়েছে তাদের ।
নাবহান সাহেব- ও।ও। আচ্ছা তুমি কান্না করলে কি হবে ? কেউ তো তোমার কান্না শুনবে না । তাই কান্না থামাও ।
কান্নারত শব্দ- আমার কান্না আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ।
নাবহান সাহেব- তো আমরা কি করতে পারি ?
কান্নারত শব্দ- আচ্ছা আপনারা কি হ্যাপি ম্যাডামদের জন্য আরেকটা শব্দ বানাতে পারেন না ।
নাবহান সাহেব- কেন ? কিরকম শব্দ ।
কান্নারত শব্দ- স্পেশালি হ্যাপি ম্যাডামদের জন্য । দর্ষণ টাইপের শব্দ ।
নাবহান সাহেব- তোমার প্রস্তাব যথেষ্ট ।এবং সুন্দর ।তবে আমাদেরও তো শব্দ নির্মাণে সীমাবদ্ধতা আছে ।এ হ্যাপি ম্যাডামরা তো সমাজ নাচাচ্ছে ।এদের ব্যাক আপ দিতে তো খুশি ম্যাডামরা বসে আছে ।
এরই মাঝে নাবহান সাহেবের ছেলে বায়না ধরল ।এবং নাবহান সাহেব ও কান্নারত শব্দের আলাপ অসম্পূর্ণ রয়ে গেল…………।