পোড়া মাংসের জন্মস্মৃতি
পোড়া মাংসের ঘ্রাণ পেয়ে দেখি
কাটা চামচ তরপায়
টেবিলে গোরস্থানে পাকস্থলীতে রক্তের দাগ
কোথাও মৃতদেহ শুয়ে আছে
মানবিক ভনিতায়
সারি সারি দলা পাকনো তাদের ব্যথা
দেখছি বিষন্ন রিরংসায়
খোলা মাঠ পাতাবহরের ভূমি নয়
কত পাতা ঝরে পরে তৃণে কত পাতা উড়ে যায় !
কেবল মনে রাখি আমার জন্ম হয়েছিল
কোন এক বারান্দায়
বিকেলে
সেই ধাত্রীকে আজো দাই মা ডাকি
শুধু ভূমিষ্ঠের তারিখ মনে নেই
কারণ মাও তার জন্ম তারিখ ভুলে গেছে ।
ঢাকার প্রথম কবিতা
নিরাবিলি দেখা করবে
আচল তুলে দেখিয়ে দেবে ভালবাসার থানকাপড়
আমারও কি কম আছে সুতা বোনা সংসার
কাম শরীরে নাস্তার বড়া -ছানাবড়া
খুব শহর ঘেটে এখন শহুরে
ঢাকার অলি-গলি-পথ-ঘাট
এতদিন ধরে অবকাশ খুজে
ব্যস্ত নগরীতে এসে নামলাম !
আমার প্রহরগুলো এভাবে ছিড়ে যায়
যতদূর ভুল বুঝে মানুষ যেতে পারে
মাতৃবালা
কখনো মানুষ হবার প্রস্তাব দাওনি ডোডো
দ্যাখো খরগোশ মা আমার হাওয়া খায়
দ্যাখো গর্ভে বাড়ছে ডাইনোসর
আমাকে প্রসবের সময় পেলো না কেউ
শুধু রমণী দেখলে মনে পরে আমিও মানুষ হতে পারতাম
দূরত্ব
একটি হাত থেকে দৌড়াতে শুরু করে বারোয়ারি নেকড়ে
পুরোপুরি বাঘ নয় তবু ভয় পেয়ে পা তুলে নিলেন সে
যার ফলে বাতাসে ভ্যাবসা মোজার গন্ধ
আড়ালে কারও হাত ধরে দেখছ জীবন মানে মেডিকেলের সামনের ডিসপেনসারী
ঘুমের ঔষধের কাটতি বেশী
তারপর শুরু করো কুশল বিনিময়,
নিঃসঙ্গ বিছানায় আমারই কঙ্কাল পরে আছে
তবু নেকড়ে বিষপান করে
সে বাঘ হতে চায় ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪