লাল শাপলা। আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অহংকার। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে এই লাল শাপলার সমারোহ দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্ত এই ভালো লাগা-ভালোবাসায় পরিণত হলে-আপনাকে বরিশালের মায়ার জড়াতে হবে।
রুপসী বাংলার এই রুপের খোজে শহর ছাড়িয়ে উজিরপুর উপজেলা-আর সেখানেই সাতলা নামক স্থানে প্রাকৃতিক ভাবে এই শাপলার অবারিত রঙ্গীন রুপ আপনাকে শুধু মুগ্ধ নয় স্থম্ভিত করে দেবে।
বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে ৩০ মিনিট পর পর সাতলার গাড়ী ছাড়ে। ভাড়া নব্বই টাকা। সাতলা জায়গার নাম হলেও এটা একটি বিলের নাম। এক সময়ে বর্ষাকলে এটা সম্পর্ন ডুবে যেতো।
স্বাধীনতার পরে তৎকালীন মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত প্রথম সাতলায় বাধ দেয়ার কাজ শুরু করেন। সেই থেকে বিল থেকে বিশাল এলাকা উথ্থিত হয়ে বর্তমানে মনোরম এলাকায় পরিণত হয়েছে। এই বিলে প্রাকৃতিক ভাবে শাপলা ফোটে।
সাথারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই বিলে লাল শাপলা ফুল ফোটে। তখন নৌকা নিয়ে এই বিলে যাওয়া আরেক প্রাপ্তি।
এই বিলে শুধু শাপলাই ফোটে না-শীতের মৌসুমে যখন পানি কমে জায়,তখন সব শাপলা মরে যায়-তখন কৃষকরা এখানে ধান লাগিয়ে দেয়।
একই সাথে ধান ও শাপলার এই সহাবস্থান আর কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। সাতলার এই বিল তাই অনন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৯