কী জীর্ণ মলিন বসন নিয়ে শুয়ে আছো

একপ্রান্ত ধরে টানছে নৌকাবাসী মন

অন্যপ্রান্তে লিকলিকে ধানের ডগা

মধ্যখানে আমি ও আমরা জবথবু পড়ে আছি।

তবু এই করে একচল্লিশটি বছর কাটলো -

একটুও বদলায়নি পাড় কিংবা

জলের রঙ তার। ... বাকিটুকু পড়ুন

ধারাপাত গুণতে গুণতে একদিন একুশে আসি

নামতায় বরাবরই ভুল ছিল

এখনও ভুল হয় - কখনো ফাগুন আসে না;

চেতনা বিলিন হতে হতে এখন কালো থাবার দখলে।



ধারাপাত গুণে গুণে একদিন একুশে আসি

একাত্তর রোদ্র-করোটিতে নিয়ে ... বাকিটুকু পড়ুন

দুধেল জমিন থেকে কালো অক্ষর কুড়িয়ে নিতে অকস্মাৎ স্পৃষ্ট হই

আঙুলে লেগে রয় কালি ও মমতার দাগ

কপাটে কীসের ছায়া

মাটির কলসে খোদাই করা নৃত্যযুগল

প্রতিদিন চোখবুজে সচল হতে চায়,

পরীদের আনাগোনা, হালকা রেশমে বাতাস নাড়িয়ে যায়

তখন স্পর্শকাতর এক ভঙিমা নিয়ে ... বাকিটুকু পড়ুন

মিথুয়া, আজ দেখা হোক কাল কিংবা পরশু

তাতে তফাত নেই কিছু শুধু হাড়ের বয়স

আর ছতুনের রঙ বদলানো ছাড়া,

আমি কী এভাবেই দেখেছি জীবন-ভর

মনে পড়ে না মিথুয়া─একটি কাটা

আরশুলা হয়ে হেঁটে যায় পাঁজর ঘেষে;

তাকে বহুরূপে বদলাতে চেয়েছি, পারিনি। ... বাকিটুকু পড়ুন

এক.

তিতা-নিমপাতার চিরলদৃশ্যে আজ

বিষবাষ্পের মিসাইল-চোখ উৎক্ষেপণে অপেক্ষমান

আর আমরা এখনো উরুস্তম্ভ দেখে

ভিমরী খেয়ে পড়ে থাকি নালায় ও ডুবায়।



যদিবা অযাচিতভাবে বেরিয়ে পড়ে ... বাকিটুকু পড়ুন

কী অদ্ভুদভাবে শুয়ে আছে থলথলে লাশ

এই পথ ধরে যারা যায়, তারা

ভীত নয় লোভী হয়ে উঠে।



অনুগত নয় জেনে শঙ্কা ও সাহসের কথা

ভুল ব্যাখ্যায় প্রতারিত হয়।

দল বেঁধে একদিন কিছু রঙ ... বাকিটুকু পড়ুন

রঙ সে তো জীবনেরই অবিচ্ছেদ্য ভাগ

পাতারি রঙের দেশে মানুষ হাঁটে

হাঁটতে হাঁটতে রঙ বদলায়

যে কোনোদিন রঙ ছুয়েও দেখেনি

তারও চোখে এক অনাস্বাদিত রঙ ভাসতে থাকে ...



বয়স সাতরে সাতরে মধুমাস বাড়ে ... বাকিটুকু পড়ুন

কবিতা আমার সঙ্গে প্রতারণা শুরু করেছে। সুক্ষ্মানুভূতিগুলো যেদিক থেকে উঠে আসার কথা সে-পথে অকস্মাৎ বন্ধাত্বের আকাল চলছে। কিন্তু অনুভূতির উৎসমুখ ভুলতে দিচ্ছে না─আমি একদা কবিতা লিখতাম। বন্ধুরা প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা করেছেন। যাদের ভালো লেগেছে তারা কবিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। প্রত্যাখ্যানও করেছেন অনেকে। গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যানের পর্বগুলো অতিক্রমকালে কবিতার সত্যানুসত্য জেনেছি─কবিতার... বাকিটুকু পড়ুন

শরবরী ফিরে এসেছে

তার চোখে ছিল আগুনের ঝাঁঝ

শিল্পকলায় উত্তীর্ণ পায়ের ধ্রুপদী বাঁক

সহসা থামিয়ে দিয়েছে লিঙ্গভেদের মানুষ (!)



শাঁই করে উঠে আসে আধুনিক হাত─তকতকে নোরম গালের উপর ...

শরবরীর সয়নি ... বাকিটুকু পড়ুন

বহুদিন তোমার কথা লিখি না বলে

ননদ যে আমার চিরশত্রু─খোটা দেয়

আমি খোটা খাই

মাথায় মাখি

তবু তোমার কথা বলি না

উড়িয়ে মারি অচেনা কথার মালা। ... বাকিটুকু পড়ুন

০১.

করোটি শূন্য, গর্ভশূন্য পুড় পুড় গন্ধ এই নোন্তার ছাল

অপাত্রে রেখো না হাত; ছলনায় ভগ্ন হবে─চমকানো দিন



০২.

প্রতারিত হতে হতে মানুষ মুগ্ধতা হারায়

তবু প্রতারণা জিইয়ে রয় হাটে ও গোপাটে ... বাকিটুকু পড়ুন

চির দুঃখিনী মা একদিন বলেছিল—তুই পুংটি হবি

তোরও ভেতরে জ্বলছে কাঁচালঙ্কার ঝাল

আমি এখনও কাঁচালঙ্কা খাইনি মা

অথচ ঝালের তীব্র তেজ ছুঁয়ে যায় ঠোঁটের-পরত

দুষ্টুমী করে বন্ধুদের বাজিয়ে দেখতাম—সঙ্গদোষ কতদূর যায়



স্পর্শ করেছি কতো তেরো নদী আর সাতসাগরের জল ... বাকিটুকু পড়ুন

শানবাঁধা ঘাটে আজ থক-থকে ফেনা

গোসল করিয়া কন্যা উঠিয়া গেলে

ছান মিয়া চাইয়া থাকে, চান্দের লাহান

ফর্সা গোড়ালি চক্ষে বেহুস লাগায়



পূবের সূয্য দেখো পশ্চিমে গড়ায়

ঘোরেতে মজিয়া বুঝি সন্ধ্যা নামিলো ... বাকিটুকু পড়ুন

আমার আর কবিতা সয়না

কী কারণে আবর্জনা লিখে ক্লান্ত হই নিজেও জানি না

আমার বাবা ঘুষ খেতেন

সেই টাকায় দামী গহনা পড়ে মা’র কী আনন্দ

দুই ভাই চাটগাঁ

কদাচিৎ তাদের সঙ্গে কথা হয়

আমার এই দামী রক্তকণিকা নিয়ে কী উল্লাস ... বাকিটুকু পড়ুন

শহরের বনেদী কুকুরগুলো আমারই দিকে তেড়ে আসে

ঘেউ ঘেউ করে গালি দেয় বলে, তোর ঝুটি কেটে দেবো

তোর বাড়বেড়েছে বড়, তুইও তসলিমা নাসরিন হবি



উন্মুখ চোখগুলো গিলে খায় তাবত শরীর



আমি তো কেতাব-পুরাণে এখনও চোখ রাখি ... বাকিটুকু পড়ুন