৫ই জানুয়ারীর, ভোটার বিহীন অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে, বর্তমান সরকার এখন ফাটা বাঁশের চিপায় আটকা পড়েছে । কারন -যারা, যেকোন প্রকারেরই অবৈধ কাজ করুক না কেন, কখনও বৈধ কর্ম করার মতো নৈতিক বল, সাহস, প্রশান্তি আর স্বাচ্ছন্দের সাথে কাজ-কর্ম করতে পারে না ।
বর্তমান সরকারও যেইদিন থেকে নূতন সরকারের দায়িত্বভার গ্রহন করেছে, সেইদিন থেকে তাদের নৈতিক বল, পূর্বের সরকারে থাকাকালীন সময়ের চেয়ে প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে, অথচ দায়িত্বের ভার কিন্ত আগেরটাই রয়ে গেছে । ফলে কোন কাজের সিদ্ধান্তই, তারা আর আত্মবিশ্বাসের সাথে গ্রহন করতে পারছে না, এবং তাদের মধ্যে একপ্রকার নার্ভাসনেস কাজ করছে । সরকারের নৈতিকবলের ঘাটতি জনিত কারনে সৃষ্ট নার্ভাসনেস, প্রশাসনের সর্বত্রই প্রতিফলিত হতে শুরু করেছে, যার প্রতিক্রিয়া সারা দেশের উপর পড়তে শুরু করেছে । ফলে দেশে একপ্রকার নিরব স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই সাথে এক অজানা আতংকে এবং অনিশ্চয়তায় ভূগছে মানুষ ।
সরকার ক্রমশই যেন রাষ্ট্রযন্ত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে । মনে হচ্ছে, সরকার তার রাষ্ট্র যন্ত্রের উপর খবরদারী করতে, কেমন যেন সাহস পাচ্ছে না ! কিন্ত রাষ্ট্র যন্ত্রের উপর ঠিকমত নিয়ন্ত্রন রাখতে না পারার দরুন, দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে ,যা সরকারের জন্য এক ভয়ানক পরিনতি ডেকে আনতে পারে ।
ভোটারবিহীন নির্বাচন করে, সরকার আগেই জনগনের উপর, তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে । এখন যদি রাষ্ট্রযন্ত্রও সরকারের দূর্বলতার সুযোগে বিগড়ে যায় , তখন সরকার টিকিয়ে রাখাই দুস্কর হয়ে পড়বে । কিন্ত এই পরিস্থিতিতে সরকার এখন কি করবে ? সরকারের মেয়াদকাল কি আরো দীর্ঘায়িত করবে, নাকি এখনই সসম্মানে কেটে পড়বে ? সরকারের মেয়াদ দীর্ঘায়িত করলে, দেশের পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে, আর ক্ষমতা ছাড়ার চিন্তা করলে, বিগত মেয়াদের নানা অপকর্মের জন্য নেমে আসতে পারে, ভয়াবহ বিপদ । কোনটা করবে সরকার ? জেনেশুনে বিপদের দিকে হাঁটবে, নাকি ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রেখে, নিজেদের ধ্বংসের শেষটা কোথায় গিয়ে থামে, তা দেখবে ?