ভিকারুন্নিসার মেয়ের আত্মহত্যার মত এই দেশে যত ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে কয়েকদিন তোলপাড় হয়, মিটিং মিছিল চেঁচামেচি হয়, এরপর সব চুপ। যেই সিস্টেম, সেই সিস্টেমেই চলে। আমি বলছি না সিস্টেম থাকা খারাপ, কিন্তু সিস্টেম কে সময়ের সাথে উন্নত করাটা বেশী জরুরি। তার থেকেও জরুরি যেটা নিজের মন মানসিকতা উন্নত করা। আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা যেভাবে গড়ে তুলে আমাদের জিপিএ ৫ না পেলে বা টিসি পেয়ে গেলে জীবন শেষ এই ভয়ের সিস্টেম আর কত? প্রতিযোগিতা বাদ দিয়ে প্রতিটি মানুষের নিজস্বতা নিয়ে পড়াশোনার সিস্টেম কই? কবে মানুষ এইটা বুঝবে যে সবাইকে একই সাব্জেক্ট পড়িয়ে একই কাতারে বিচার করাটা মানুষকে স্রেফ মূর্খতা? এইগুলাই কি মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে দিচ্ছে না?
কেন প্রতিটি স্কুলে মানসিক চাপ কিভাবে সাম্লাতে হয় এই শিক্ষা দেয় না? কেন স্কুলে স্যার/ম্যাডাম দের যদি কোন স্টুডেন্ট জিজ্ঞেস করে যে তার পড়াশোনা করতে সমস্যা হচ্ছে তারা কেন অইরকম ট্রেইনিং প্রাপ্ত না যে সেইটা বুঝে সমাধান দিতে পারবে? সবাই বলে পড় পড়! আরেহ ভাই পড়তে না ইচ্ছে করলে তখন কিভাবে নিজেকে মনোযোগ আনতে হয় সেইটা কেউ বলে না!
কারণ প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা। প্রত্যেকটা। সবাইকে এক কাতারে রেখে সাইজে আনার চেষ্টা করা অনেক শিক্ষার্থীর ই মানসিক চাপের কারণ। আর আমাদের সুপ্রিয় বাবা-মা ও আছেন অনেক যারা এইগুলো নিয়ে একটু অতিরিক্তও করেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আগে আপনার সন্তান থেকে আশা করার আগে তাকে বুঝুন তার ক্যাপাসিটি অনুযায়ী আশা করুন। তার ওপর অযথা আপনার আশার বোঝা চাপিয়ে দিবেন না।