আয়নাটা আজ দেয়াল জোড়া ছিল।
ভুল বললাম।
আয়না দেয়াল জোড়া ছিল প্রতিদিনের মতো।
রোজই দাঁড়াই সামনে তার অপরিচিতের মতো,
মানুষটাকে চিনতে পারি না,
কত রূপ ঐ মানুষটার।
চুলগুলোকে ফিতের বাঁধনে জড়াতে জড়াতে
দেখি আমিও জড়িয়ে গেছি ফিতের বাঁধনে।
কাল রাতে স্বপ্নে দাঁড়িয়ে ছিলাম আয়নার সামনে,
চমকে উঠি, আঁতকে উঠি,
এই হাতে ঐ মানুষটাই
আমার বাবাকে চিতার আগুনে মুখাগ্নি করেছিল।
এত নিষ্ঠুর পারলো কি করে হতে!
একটুও কষ্ট হয় নি ওর!
যে বাবা আগুনের ছ্যাঁকা
আমার আঙ্গুলে লাগলে
আঙ্গুল চুষে ঠাণ্ডা করে দিত আমার হাত।
পারলো কি করে?
এত বহুরূপ তুমি না থাকলে
পড়ত কী করে ধরা তার ?
সন্ধ্যার বাতাসে ঐ মানুষটাই তো আমাকে সান্ত্বনা দেয়,
দিনের আলোতে ব্যঙ্গ করে আমায়,
রাতের নীরবতায় শরীরের সাথে
শরীর চেপে ধ'রে
শীতল বাতাস থেকে মুক্তি দেয় আমায়।
দুপুরের একাকীত্বে গল্প শোনায় আমায়,
আয়না, তুমি গনগনে দুপুরের
নীল নির্জনতার গান।