কখনো কি বুকের ভিতরে মুখ লুকিয়েছ?
কার বুক ? বোকার মতো প্রশ্ন কর।
নিজের বুকে কি কখনো নিজের মুখ লুকানো যায় ?
মুখ লুকাতে গেলে অন্য কারো বুক ই দরকার।
তবে নিজের ভিতর নিজেকে লুকাতে পারো,
নিজের ছায়ায় নিজেকে হারাতে পারো,
নিজের মায়ায় নিজেকে জড়াতে পারো,
কিন্তু দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে যখন ফিরবে ঘরে,
সমস্ত রোদের তাপ যখন তুমি ছড়িয়ে দিতে চাইবে
নিজের থেকে অনেক দূরে,
তখন তোমার একটা বুক দরকার।
ঠাণ্ডা-শীতল-জমে যাওয়া কোনো বুক নয়
উষ্ণতায় ভরা, গভীর দুঃখে পাশে জেগে থাকা
উষ্ণ কোনো বুকের আশ্রয়।
প্রতিটি মানুষই পেতে চায় সেই হারানো সম্পদ
কিন্তু সবাই তো পায় না।
হারিয়ে যেতে যেতে অনেক দূরে জলের ভেতর
যেমন ডুবে যায় কোনো স্বপ্নের স্রোত,
অনেক দিনের চোরাবালি
যাকে তিলে তিলে টেনে এনেছে
বাইরের গভীর গোপন ষড়যন্ত্রে,
তখন একটু জেগে উঠে,
একটু কাছে পেয়ে
যার ভিতরে ডুবে যাওয়া যায়-
সেই বুক ।
যেখানে সবাই লুকাতে চায়,
হারাতে চায়,
ভিজে যেতে চায় গভীর মমতায়,
কিম্বা কোনো এক হিংসুটে হিংসায়,
সেই বুকের কথাই বলছি আমি।
স্বপ্নের ভিতরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা যে সমুদ্র,
যার ঢেউয়ে হারিয়ে গিয়ে
ভাসমান স্বপ্নের মতো এগিয়ে চলেছি
আরো এক গভীর স্বপ্নের দিকে,
যে স্বপ্ন চোরাবালির মতো টেনে চলেছে আমাকে
আরো গভীর থেকে গভীরতার আকাঙ্খায়,
আমি চাইলেও সেই গভীরতা থেকে
নিজেকে মুক্ত করতে পারছি না।
আমি চাইলেও হারাতে পারছি না সেই নীল জলে।
আমি প্রাণপণে সাঁতার কাটছি,
ডুবতে চাইছি না বলে সাঁতার কাটছি,
ভেসে থাকতে চাইছি বলেই সাঁতার কাটছি।
তবু পৃথিবীর যে গভীর মাধ্যাকর্ষণ
আমাকে আরো অতলে নিয়ে যেতে চাইছে,
সেখান থেকে কোনো এক উষ্ণ হৃদয়-
উষ্ণ বুক কি আমাকে দিতে পারে
এই কৌলিণ্য থেকে মুক্তি?
তুমি কি দিতে পারো
সেই কামনাময় উষ্ণতম বুক?