মুখোশ কিনেছি আমি বাজার থেকে,
বাজারি মুখোশ,
দাম এর বেশি নয়
তবু দরকারী।
টাকাতো লাগেনি বেশি
দামহীন মানবতা দিয়ে দাম মেটালাম।
মহাখুশি।
চোখ-ঢাকা কালো চশমায়
কার দিকে তাকাবো যে
বুঝবে না কেউ।
তারও চেয়ে কার্যকারী
এই মুখোশের মেলা,
কোন জলে ভাসিয়ে ভেলা
যাব কোন দিকে,
সব কিছু মুছে দেবে আমার মুখোশ।
এখন প’রেছি দেখ ‘সন্তান-মুখোশ’,
পরেছি তো এটে সেটে
খুলবে না কেউ।
আর এত ভালো,
কি যে বলি!
এই দামে কেউ, পায় কি সেটা ?
এটা সেটা বকে যাব মায়ের কাছে-
বাবার কানে,
সন্তান গরবে গর্বিত বাবা-মা
মুখ চোখ দেখলেই বোঝা যায় সেটা
পড়াশুনায় কত ভালো,
চাকরিও করে ভালো সন্তান আমার,
বাবার চোখের জ্যোতি আঁধারে জ্বলে,
উদ্ধত, মায়ের গর্ব ভরা বুক
একদিন দুধের সাগর
ঢেলে দিয়েছিল সব অমৃতের ধারা,
সেও বুঝি।
তারপরে মুখের মুখোশ কথা বলে-
বাজারের দাম কত দামী,
আমার বেনামী এই বন্দর
পারে কি তার ভার ধরাতে,
অতএব বেশি কিছু নয়
অভাবের সংসারে অভাবীর মতো
মুখোশই পাঠাতে পারে
পিতৃ-মাতৃ নির্বাসনে
তপোবন বৃদ্ধাশ্রম,
সম্ভব কি হতো
মুখোশ না হলে।
আহা, আহা, বেঁচে থাক আমার মুখোশ।
এখন গভীর রাত,
আমার একটি হাত
তার বুকের উপরে,
মুখোশ এটেছি বেশ ভালো ক’রে।
‘প্রেমের মুখোশ’।
যদিও আমার মুখ
আপাতত নেয়নি আবেগ গভীর,
কিন্তু মুখোশে দেখ কত
আটকে দিয়েছি কত-
শত ভালোবাসা।
আমার পাশের জন,
আধো ঘুমে আধো জাগরণে
গভীর জড়িয়ে ধ’রে আমার শরীর।
আমার মুখোশ লাবণ্য তার
মনের গভীরে ছবি আঁকে,
রঙ করে গভীর গোপন।
তাহলেই বোঝো
নিজে যা পারিনা তারে,
একটি মুখোশ ক'রে,
কত সহজেই জিতে নিই এক নিমেষে।
চাই নাকি তোমারো এমন মুখোশ ?
তোমার অজান্তে তোমাকেও দিতে পারি।
অতঃপর-কবিতা আমার, ছবি আমার নয়- ছবি গুগলের সৌজন্যে।