কিই বা আমার দাম!
বিছানার পরে একটা শরীর
মনটা শুধুই বাম।
তোমার হাতের পুতুল আমি
ভাঙতে শুধুই পারো,
জোড়া দেওয়াতো অর্থহীন
নইতো অন্য কারো!
শরীর ছানো, শরীর গড়ো,
পুরুষ শুধুই তুমি
মনে কি একটু করতে পারো-
কোথায় তোমার মিষ্টি জন্ম-ভূমি ?
কান্নার পর কান্না ভোলাতে
তোমার ঠোঁটের আগায়
সুধার দুগ্ধ মিষ্ট পরশ
কেই বা শুধু যোগায়?
জন্মের পরে কি সুরে কেঁদেছ
মনে কি তোমার পড়ে ?
মা ছাড়া কি অন্য
ডাক ছিল সেথা
তোমার ছোট্ট স্বরে?
সেই সুরে কার উথলে উঠেছে
বুকের সাগর আলো ?
সেই তো জননী, আমিই জননী
আজ অন্ধকারেই কালো।
আমিই জননী, আমিই নারী
কান্না ভোলাতে আমিই পারি।
কখনো বক্ষ সুধা দিয়ে কভু
কখনো বাক্য সুধা দিয়ে তবু
অচল কড়ির নিথর বাক্যে
একটি আঁচড় আমি।
রাতের আঁধারে আমায় আঁধার
করেছ তুমি কত,
হিংস্র ওই নখের আঁচড়ে
বক্ষে আমার ক্ষত।
আঘাতের পর আঘাত স'য়ে
তোমার পরশ শরীরে ব'য়ে
আবার তোমাকে জন্ম দিয়েছি
লালনও করেছি আবার তোমাকে
জ্বালাতে নিজেকেই অবিরত।
তুমিতো শুধু ভুলতেই থাকো,
ভোলাই তোমার স্বভাব,
মানুষ রূপেতে জন্ম দিলেও
মানবতার অভাব।
বলাৎকারের কালে
বিস্মৃত হও
মাতৃস্তন্য সুধার,
তাইতো আগেও ঝলসে উঠেছে,
এখনো আবার ঝলসে উঠছে
মাতৃহন্তা পরশুরামের কুঠার।
এই কবিতা আমি উৎসর্গ করলাম শায়মা কে । শায়মার লেখা পড়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস এবং বাংলাদেশের নারী এই সামান্য কথা গুলো উঠে এসেছিল আমার ভেতর থেকে। আজ ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমি এই কবিতা উৎসর্গ করলাম শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সামুর সমস্ত ব্লগারকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ ভোর ৪:০৮