বাসে উঠা নিশ্চিত করতে নিকুঞ্জ থেকে উল্টা পথে মহাখালি বাসস্ট্যান্ড। সাথে একটা ব্যাগে ল্যাপটপ- কিছু জামাকাপড়! রমজানের শেষ সেহরি খেয়ে কাকভোরে রাস্তায় নামার প্ল্যান থাকলেও একটু আলসেমি -গড়িমসিতে রাস্তায় নামতে নামতে একটু বেলা, একটু দেরী! হুড়মুড় করে কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে বাস-এ উঠা!
তারপর ঘন্টা দুই-তিনের অধীর প্রতীক্ষার ভ্রমনের সাথে সাথেই শুরু হয় উৎসবের আমেজ! পোটলা-পাটলা নিয়ে উঠা লোকটা, তারস্বরে চ্যাঁচানো পিচ্চিটা, সানগ্লাস চোখে অই যুবক; সবার চোখে মুখই চকচক করা, অল্প কিছুক্ষন পরেই প্রিয়মুখ দর্শনের গল্পে সকালের ভেজা ভেজা হাওয়ায় আকাবাকা রাস্তায় বীরদর্পে বাসের ছোটে চলা!
গন্তব্যের কাছাকাছি আসতে আসতে, মনের কোনায় ভেসে বেড়ানো গল্প, ঠোটের কোনায় মুচকি হাসি! ওইত- বাঁক পেড়োলে অই বাজার, বাজারের পর রাস্তার দুইপাশে দুইটা পদ্মপুকুর পেড়িয়ে বিস্তীর্ণ মাঠকে পেছনে ফেলে আর একটু এগুলেই ব্রীজ! ব্রীজের পরের স্টপেজে নামতেই পরিচিত লোকজনের হাসিমুখ! ব্যাগ হাতে মাত্রই বাস থেকে নামতে দেখার পরও কি অদ্ভুত সারল্যে জিজ্ঞাসা,
"বাবা, মাত্রই আসলা !?"
তারপরের পাচমিনিট আজন্ম পরিচিত ধুলিকনা, গাছপালা- বাড়িঘরের পাশ দিয়ে হাটতে হাটতেই পরম আরাধ্য সেই গন্তব্য! উচ্ছাসে ভেসে যাওয়া ভেতর-আর বাহির, বাহির আর ভেতর!
এখানে আজ বৃষ্টি হল, হালকা। রাত পোহালেই ঈদ! সবকিছুই সাদামাটা, মেঘের কোন ফাকে হয়ত বাকা চাদের গল্প! হয়ত ভেতরের তুমুল উত্তাপে এই গ্রীষ্মের সময়েও দেহ তাপ হারিয়ে শীতল! হয়ত স্মৃতিতে জেগে থাকা সেই পুরুনো উচ্ছাসেই বলে উঠা...
"ঈদ মোবারক ! "
অনাবিল আনন্দে ভরে উঠুক প্রতিটি মুহূর্ত।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪০