ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বঘোষিত রুপকার, বিশ্ব কম্পিউটার মার্কেটের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব এবং স্টিভ জবস মারা যাবার পর তথ্যপ্রযুক্তির একমাত্র লিভিং লিজেন্ড, বিভিন্ন বিদেশী কম্পিউটার বইয়ের অনুবাদক লেখক, বিশ্বের অন্যতম জায়ান্ট কম্পিউটার প্রতিষ্ঠান আনন্দ কম্পিউটার্স এর মালিক, জনাব মোস্তফা জাব্বার অভ্রর বিরুদ্ধে করা মামলার রেশ কাটতে না কাটতে মামলা ঠুকে দিলেন এবার অ্যাপল কম্পিউটার্স এর বিরুদ্ধে। আপনরা নিশ্চয় ইতিমধ্য জেনেছেন যে স্টিভ জবস মারা যাবার পর অ্যপল কোম্পানী যখন হতাশার সাগরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন তখন পাশে গিয়ে দাঁড়ান তথ্যপ্রযুক্তির এই দিকপাল, কিনে নেন অ্যাপলের বেশিরভাগ শেয়ার। সিলিকন ভ্যালির সিএনএন এবং সামুর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদাতা এন্টনী. ফিরিঙ্গীর তথ্যমতে, বর্তমানে এককভাবে, আনন্দ কম্পিউটার্স তথা মোস্তফা জাব্বারের অ্যাপলে শেয়ার হচ্ছে ৫৫ ভাগ। সেদিক থেকে এতদিন সিলিকন ভ্যালি তথা বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবাই মোটামুটি একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন মোস্তফা জব্বারই হচ্ছেন স্টিভ জবসের পদের পরবর্তি ব্যক্তি। যেহেতু এককভাবে তিনিই অ্যাপলের সবচেয়ে বেশী শেয়ারের মালিক।
কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদাতা এন্টনী. ফিরিঙ্গী থেকে একটু আগে জানতে পারি, সবাইকে বিস্ময়ে ফেলে দিয়ে স্টিভ জবস মারা যাবার পর অ্যাপলের চেয়ারম্যান হিসেবে আজকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে স্টিভ জবসের দীর্ঘদিনের বন্ধু আর্থার লেভিনসনকে। লেভিনসনকে সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হয়।
কিন্তু বর্তমানে সিলিকন ভ্যালিতে থাকা তথ্যপ্রযুক্তির একমাত্র লিভিং লিজেন্ড মোস্তফা জাব্বার এই সিন্ধান্ত মেনে নিতে পারেন নি। তিনি সেখানে তাৎক্ষনিক সাংবাদিক সম্মেলনে সিএনএন এবং বিবিসিকে লিখিত বক্তব্যে জানান, "এটা সুস্পষ্ট স্বজনপ্রীতি, একজন জবসের বন্ধু হলেই তাকে অ্যাপল চেয়ারম্যান করে দিতে হবে এটা কেউ মেনে নেয়নি, আমিও না। আমাকে চেয়ারম্যান করা হবে এই কারনেই আমি সেদিন জবস মারা যাবার পর, "বিজয়" বাংলা'র রয়ালিটির জমানো টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙ্গে কিনেছিলাম অ্যাপলের পচা শেয়ারগুলো, এখন আমাকে বাদ দিয়ে লেভিনসন এর মত অখ্যাত এক ব্যক্তিকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দেয়া হল। এটা আমার সাথে প্রতারনা করা হল। আমি প্রতারনা এবং বিশ্বাসভঙ্গের মামলা করবো অ্যাপল এর বিরুদ্ধে"।
অন্যদিকে এই ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ দিপু মণিও জানিয়েছেন ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, "এ ঘটনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিশাল একটি ধাক্কা এবং নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কারন মোস্তফা জাব্বার ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম কারিগর। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে ইউএস প্রেসিডেন্ট ওবামাকে আনুষ্ঠানিক নালিশ দেবার কথা সক্রিয় ভাবে ভাবছে"।
আপডেট-১: কাগুর মামলা আমলে নিয়েছে ফেডারেল কোর্ট। দ্রুত ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে এফবিআইকে। তদন্ত সত্য প্রমানিত হলে অ্যাপলকে বিশাল ক্ষতিপূরণ এর সাথে সাথে লেভিনসনকে হারাতে হবে CEO পদ। প্রতিক্রিয়ায় জাব্বার কাগু জানিয়েছে এটা সাময়িক বিজয়। তিনি আপেল নিয়েই তবে বাংলাদেশে ফিরবেন।