আম্রকুঞ্জে পরিত্যক্ত ছিলেন সে কন্যা
ভ্রমরকৃষ্ণবর্ণ ও কুঞ্চিতাগ্র তাঁর কেশ
চিত্রকরের অঙ্কিত ভ্রুর ন্যয় ভ্রুযুগল
গাঢ়নীলপদ্মের ন্যয় চক্ষুদুটিও বেশ ।
নারীর তিন রূপ কন্যা-ভার্যা-মাতা , চিরকালীনভাবে
কুঞ্জের ত্রিপত্রের সজ্জায় হোলো বিলীন
লিচ্ছবী তরুনদের লিপ্সাই হোলো আভরণ
এমন নগর বধূয়া ছিল না সমকালীন !
তবুও দেহনিশি শুদ্ধ হয় সূর্যস্পর্শে
অন্তরের পূণ্যস্নানে শুদ্ধ হন নন্দিনী
ব্রাহ্মমুহূর্তে ঈশ্বর আসেন আম্রপালীর দ্বারে
বলেন - ' তৃষ্ণা নিবারণ করো জননী । '
( আম্রপালীকে তাঁর জন্মদাত্রী বোশালী নগরে পরিত্যাগ করে যান । পরে সেই সুন্দরীকে নিয়ে রাজকুমারদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়ে যায় । তার মীমাংশার জন্য তাঁকে নগর বধূয়াতে পরিনত হতে হয় । পরে বুদ্ধের পদার্পনে তিনি অর্হত্ব প্রাপ্ত হন । )
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫