somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আনারকলির সন্ধানে

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
শাহজাদা সেলিম আর আনারকলির প্রেম কাহিনীর কি আদৌ কোনো বাস্তবতা আছে ?





আনারকলি । না ! ভুল হোলো । শুধু আনারকলি না সেলিম আনারকলি । এঁদের প্রেম কাহিনী জনপ্রিয়তায় লায়লা মজনুর প্রেম কাহিনীকে পাল্লা দিতে পারে বললে বোধহয় , এমনকিছু বাড়িয়ে বলা হবে না । তো বহুশ্রুত গল্পটা সংক্ষেপে মনে করা যাক ।

শাহেনশা আকবরের খাস বাঁদী ছিলেন নাদিরা বেগম বা সরিফ-উন -নিসা বেগম । তাঁর নৃত্য আর সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে আকবর নাম রাখেন
আনারকলি । ১৪ বছর বয়সে শাহজাদা সেলিম যেদিন যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ফেরেন সেদিন শাহেনশা শাহজাদাকে অভ্যর্থনা করতে এক মেহেফিলের আয়োজন করেন । আর সেখানেই আনারকলিকে প্রথম দেখেন শাহজাদা সেলিম ।এটাই প্রেম কাহিনীর শুরু । তারপর নাকি শাহেনশা এই কথা জানতে পারেন ও ক্রুদ্ধ হন । সেলিম বাবার বিরূদ্ধাচারণ করেন । পরিশষে আকবর আনারকলিকে জীবিত কবর দেও্য়ার আদেশ দেন ও তা কার্যকর হয় । না কাহিনী এখানে শেষ হয়নি । এরপর আরেকটু প্রচলিত আছে । আসলে আকবর গুপ্ত রাস্তা দিয়ে আনারকলিকে প্রাসাদের বাইরে বের করে দেন ।

এই কাহিনীর জন্ম পাকিস্থান , লাহোর । কিন্তু কতটা সত্যতা আছে এই গল্পের ? এবারে একটু অনুসন্ধান চালানো যাক ।

উল্লেখিত গল্পটিকে লিখিত রূপ দেন উইলি্য়াম ফিন্চ (১৬১১ খ্রী ) তাঁর ভ্রমন বিষয়ক জার্নালে । ১৬০৮ খ্রী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হয়ে জাহাঙ্গীরের কাছে নীল বিক্রির বায়না দিতে আসেন । তিনি লেখেন আনারকলি হলেন আকবরের খাস বাঁদী এবং তাঁর ছেলে দানিয়েলের মা , এবং শাহজাদা সেলিমের প্রেমিকা । তিনি ( আনারকলি ) মারা যান ১৫৯৯ খ্রী ।সেলিম তাঁর জন্য একটি স্মৃতিসৌধ বানাচ্ছেন ।

এই কাহিনীটাই লাহোরে প্রচলিত আর বর্তমানে নেটেও বহুল প্রচলিত ।



এটাই সেই আনারকলির স্মৃতিসৌধ

এই তথাকথিত স্মৃতিসৌধে লেখা আছে এটি আনুমানিক (১৫৯৯ - ১৬০০) খ্রী - ( ১৬১৫ - ১৬১৬ ) খ্রী মধ্যে তৈরী ।
যদি এই গল্পটা সত্যি বলে মেনে নেই , তাহলে কয়েকটি প্রশ্ন মাথায় আসে --

১ । ১৫৮৫ - ১৫৯৯ খ্রী আকবরের রাজধানী ছিল লাহোর । ১৫৯৯ খ্রী আবার তিনি রাজধানী আগ্রায় নিয়ে আসেন এবং ১৬০৫ খ্রী মৃত্যুদিন পর্যন্ত রাজত্ব করেন । গল্পমতে সেলিম এটা তৈরী করেন । কিন্তু সেলিম তো ১৬০৫ খ্রী বাদশা হন ।

আবার এমতে এটি আনুমানিক (১৫৯৯ - ১৬০০) খ্রী - ( ১৬১৫ - ১৬১৬ ) খ্রী মধ্যে তৈরী । তাহলে আকবর যাকে জীবিত কবর দেও্য়ার আদেশ দেন , তারই আবার স্মৃতিসৌধ করেন ?

২ । এটি আনুমানিক (১৫৯৯ - ১৬০০) খ্রী - ( ১৬১৫ - ১৬১৬ ) খ্রী মধ্যে তৈরী । মানে এটা করতে সময় লাগে ১৬ বছর । তারপরে তৈরী পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য্য তাজমহলেরও তৈরী হতে সময় লাগে ঐ ১৬ বছর ( ১৬৩২ - ১৬৪৮ ) খ্রী ।
এটা কি নিছক কাকতালীয় নাকি কপি পেস্ট গল্পের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে ?

৩ । শাহজাদা দানিয়েল শাহজাদা সেলিমের থেকে মাত্র ৩ বছরের মতো ছোটো । তা আনারকলি যদি দানিয়েলের মা হন , তাহলে শাহজাদা সেলিম তাঁর থেকে মাত্র ৩ বছরের মতো ছোটো ভাইয়ের মায়ের প্রেমে পড়তে পারেন ? ফিন্চের কি কিং অদিওপাসের কথা মনে পরে গিয়েছিল ?

৪ । জাহাঙ্গীর তাঁর লেখা জাহাঙ্গীরনামায় শাহি বাগিচার ফুল থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পর্যন্ত সবকিছুরই বিবরন দিয়েছেন । কিন্তু এই স্মৃতিসৌধের কোনো উল্লেখ নেই ।

৫ । আবুল ফজল আকবর নামায় তিন শাহজাদার জন্মের সবিস্তার বর্ণনা করেছেন । আকবরের অনেক সন্তান ক্ষণজন্মা ছিল ।বহু প্রার্থনার পর আকবর আর জোধা বেগমের প্রথম সন্তান হয় যিনি শাহজাদা সেলিম । এরপর ক্ষীবা বেগমের গর্ভে হন শাহজাদা মুরাদ মির্জা । তারপর আবার জোধা বেগমের ( মরিয়ম -উজ - জুমানি ) গর্ভে হন শাহজাদা দানিয়েল যিনি আমেরে জোধা বেগমের বাবা রাজা ভারমলের কাছে মানুষ হন । জোধা বেগমের বাবা রাজা ভারমল কোন যুক্তিতে এক দাসীপুত্রকে মানুষ করবেন ?

৬ । আবুল ফজল স্পষ্টতোই লিখেছেন যে শাহজাদা দানিয়েল মামার প্রাসাদে বড় হওয়ার দরুন স্বেচ্ছাচারী ও সুরাসক্ত হয়ে পড়েন ।

৭ । একই কথা জাহাঙ্গীরও লিখেছেন । তাঁর জীবনীতে মুরাদকে শাহজাদা মুরাদ বললেও দানিয়েলকে সবসময় আমার ভাই দানিয়েল বলেছেন ।

এবারে দেখি শাহজাদা সেলিম কি মজনুর মতো প্রেমিক হতে পারেন ?



জাহাঙ্গীর ও নূরজাহান


ছোটো থেকেই আকবরের অত্যন্ত আদরের ছিলেন সেখু বাবা অর্থাৎ শাহজাদা সেলিম । তিনি ( জাহাঙ্গীর )গর্বের সাথে লিখছেন যে আকবর তাঁকে সবসময় সেখু বাবা অথবা বাবা বলতেন ।

আবুল ফজলকে জাহাঙ্গীর কোনোদিনই পছন্দ করতেন না । শাহজাদা সেলিম নিজে পার্সীতে কবিতা লিখতেন । আর ভাই দানিয়েল পার্সীর সাথে হিন্দুস্থানী অর্থাৎ হিন্দিতেও অসাধারণ কবিতা লিখতে পারতেন । আবুল ফজল এই হিন্দুস্থানী কবিতাগুলো আইন - ই -আকবরীর অন্তর্গত না করায় সেলিম তাঁর সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন । আর এই হিন্দুস্থানী কবিতাগুলোকে তানসেনকে দিয়ে সঙ্কলিত করান । তারপর সেলিমের ধারনাই জন্মে যায় যে আবুল ফজল শাহজাদার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেন । আবুল ফজলের মৃত্যুর পর তিনি শিশুর মতো লিখছেন ' মনে হচ্ছে আবার আমি আমার বাবাকে ফিরে পেলাম ।' অথচ নিজে সম্রাট হওয়ার পর আবুল ফজলের সুযোগ্য পুত্রকে উচ্চপদ দেন । তাই তাঁর মধ্যে আবেগ থাকলেও তাঁকে বাস্তববাদীই বলা চলে ।

আর সেলিম ও মেহেরুন্নিসার প্রেমের সাক্ষী আছে ইতিহাস । এখানেও তিনি বাস্তববাদী প্রেমিক । মেহেরুন্নিসাকে বিয়ে করার জন্য তিনি নিজে সম্রাট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন ।

তাছাড়া জাহাঙ্গীর তাঁর জীবনীতে আকবরের মৃত্যু দৃশ্য যেভাবে বর্ণনা করেছেন তা পড়লে পাঠকের চোখে জল আসতে বাধ্য ! এছাড়া ছোট বড়ো সববিষয়েই তিনি আকবরকে স্মরন করেছেন । তাই এহেন পুত্র আনারকলির জন্য বাবার বিরুদ্ধে যাবেন , সেটা কল্পনা করা কষ্টকর ।

সর্বোপরী জাহাঙ্গীরনামায় আনারকলি বা নাদিরা বেগম বলে কোনো শব্দ নেই ।


আনারকলির সন্ধান করতে গিয়ে জীবন্ত কবর নিয়ে একটি করুন কাহিনীর সন্ধান পেলাম । তবে সেটার কেন্দ্রবিন্দু শাহজাদা দানিয়েল ।



শাহজাদা দানিয়েল

আগেই বলেছি যে শাহজাদা দানিয়েল ছিলেন সুরাসক্ত । তাঁর নেশা এমন পর্যায় পৌঁছায় যে , আকবর আদেশ দেন যে তাঁকে সুরা এনে দেবে সেই ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করা হবে । এরপর কিছুদিন তাঁর নেশা বন্ধ থাকে । কিন্তু শাহজাদা দানিয়েল তা সহ্য করতে পারেন না । তিনি তাঁর এক অনুচরকে বলেন যে তাঁর প্রিয় বন্দুকের ( জেন্বৌজা ) নলের মধ্যে করে সুরা নিয়ে আসতে । সে তাই করে । আর শাহজাদা সেই সুরা পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন ও মাত্র ৩২ বছর বয়সে মারা যান ।

জাহাঙ্গীর তাঁর জীবনীতে ভাইয়ের এই বন্দুকের জেন্বৌজা নামকরনকে অত্যন্ত অশুভ বলে ব্যাখ্যা করেছেন । আর দানিয়েল নিজে যে শায়েরীটি লিখে বন্দুকে খোদাই করেছিলেন সেটাও তুলে ধরেছেন । আমি সেটা নিজের মতো করে অনুবাদ করার চেষ্টা করেছি -

মৃগয়াতে যদি তুমি রাখো অঙ্গীকার
আমার নিঃশ্বাস হয় আনন্দের অংশীদার ।
কিন্তু তোমার স্পর্শ যে পায়
অনন্ত নিদ্রার কোলে সে যায় !


তো এই শাহজাদা দানিয়েলের বাগদত্তা ছিলেন খাঁ খানের কন্যা জানান বেগম । কিন্তু দানিয়েলের সাথে বিবাহ হয়ে ওঠেনা । আবুল ফজল লিখছেন এই জানান বেগম শাহজাদা দানিয়েলের মৃত্যুর পর সহমরনে জীবন্ত কবরে যেতে চান । কিন্তু এমন কোনো রীতি ধর্মত না থাকায় তাঁকে বিরত করা হয় । এরপর তিনি অনেক বছর বাঁচেন দানিয়েলের বিধবা হিসাবে । আবুল ফজল বলেছেন যে বহু বছর পরও তাঁকে দেখে এমন মনে হত যেন তিনি সদ্য বিধবা হয়েছেন । এমনভাবে তিনি শোক বহন করেছিলেন ।


আমি ইতিহাসবিদ নই । তবু পরিশেষে আমার মনে প্রশ্ন আসে আনারকলির গল্প কি সব কাহিনীর সংমিশ্রন ?
যাঁরা আনারকলির গল্প বিশ্বাস করেন তাঁদের কাছে অনুরোধ রাখবো একবার যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখার জন্য ।
কারন এই কাহিনী মহান সম্রাট আকবরকে কালিমালিপ্ত করার প্রচেষ্টা নয় কি ?

বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই রূপক বিধৌত সাধুকে ( Click This Link ) । কারন উনি আমার লেখা শাহেজাদীর শায়েরানা ( Click This Link ) পড়ে আনারকলিকে নিয়ে কিছু লেখার অনুরোধ করেছিলেন । আমার এই লেখাটা পড়ার যোগ্য হয়েছে নাকি জানিনা । কিন্তু ওনার জন্য আমার কিছু ইতিহাস পড়া হোলো । তাই ওনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

তথ্যঋণ -- আকবরনামা - আবুল ফজল

জাহাঙ্গীরনামা - সম্রাট জাহাঙ্গীর
দ্য কল অফ ব্লাড - রবার্ট হিকেন্স
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×