এতো ছলনার কি ছিল দরকার ?
যদি বিছিন্ন হওয়ায়ই অনিবার্য হয়
একলা দুপুর নিঃসঙ্গ বসে রয়
নির্লিপ্ত নিস্তবদ্ধতাকে ছেঁড়ে নীলকন্ঠের চিৎকার !
কেনো যে একদিন দেখেছিলাম অমাবশ্যায় চাঁদ ?
মন কৌটোয় আপসকে রেখেছিলাম ভরে
রাত নামলে সূর্য তো যাবেই সরে
জীবন বোধহয় বাঁচিয়েছিল নদীর বাঁধ !
মৃত্যুর গহীনে অন্ধকার হয়েছে লীন
মোহ মিশে আছে তীব্র যন্ত্রণায়
ভোরের পাখীরা একসুরে স্তোত্রগান গায়
বিশ্বাস করি কবিতা থাকবে অমলিন ।
চূর্ণবিচূর্ণ আমি অনন্তে মিশতে চাই
বিষাদকে কি শুদ্ধ করে গঙ্গাজল ?
নির্মোহ হাতে ভস্ম করি প্রলাপজঞ্জাল
আকুতিতে তোমার কবিতার স্পর্শ পাই !
কবিতার নেই নিজস্ব ক্ষয় কিংবা অভিমান
মৃত্যু বাজায় অন্য জীবনের নূপুর
তুমি চিনে নিও তার সুর
তোমার কবিতাই শোনাবে প্রাণের জয়গান ।