আমার আজকের এই পোস্ট টি অ্যামোনিয়ার তীব্র গন্ধে ভরা । যারা জানেন না অ্যামোনিয়া কি তাদের বলি - অ্যামনিয়ার জন্য ই আমাদের ইউরিন ( অভদ্রের মত বললে প্রস্রাব) থেকে অমন বোটকা গন্ধ আসে । যাদের অভদ্র জিনিশে অরুচি তারা এই পোস্ট পড়বেন না কিন্তু লেখার শিরোনাম টা তো একবার দেখে জান grin emoticon - " মুত্রের ৬ টি আশ্চর্য রকম ব্যবহার " । ফেলে দেওয়া জিনিশ ও কিন্তু কম কাজের না । এরপর থেকে মূত্রবিসর্জন এর আগে ভেবে দেখবেন কি মাইনাস করছেন ।
মূত্রফ্যাক্ট # ১
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনী , জার্মানদের ছোড়া ক্লোরিন গ্যাস অ্যাটাক থেকে বাঁচতে নিজেদের মুত্রে ভেজানো গন্ধ মোজা নাকে নিয়ে শুকতো । কারণ ইউরিনে থাকা ইউরিয়া , ক্লোরিন গ্যাস এর সাথে বিক্রিয়া করে প্রশমিত হয়ে যেত । ক্লোরিন গ্যাস ক্রিস্টাল আকারে মোজার গায়ে জমা হত ।
মূত্রফ্যাক্ট # ২
প্রাচীন রোমে মানুষের দাত ঝকঝকে তকতকে করে পরিষ্কার করার কাজে মূত্র ব্যবহার করা হত । প্রস্রাবে থাকা অ্যামোনিয়া আর ইউরিয়া অনেক পাওয়ারফুল ব্লিচিং এজেন্ট । তবে মাউথ ফ্রেশনার হিসেবে ইউরিন ব্যবহার করা যাবে ।
মূত্রফ্যাক্ট # ৩
সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে , গাছের গোঁড়ায় মূত্রবিসর্জন করলে অনেক বেশি ভাল ও বড় ফলাফল পাওয়া যায় । মফঃস্বলে থাকতে লাউ গাছে কত মাইনাস করেছি ।
মূত্রফ্যাক্ট # ৪
সিংগাপুরের একদল বিজ্ঞানী ইউরিন পাওয়ারড ব্যাটারি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন । কপার ক্লোরাইড এর সাথে ম্যাগ্নেসিয়াম দিয়ে তৈরি বার এবং কপার বার ইউরিন সলিউশন (ইউরিন এর দ্রবন ) এ দিলে বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু হয় । প্রবাহিত বিদ্যুৎ এর পরিমাণ ১.৫ ভোল্ট এবং প্রায় ৯০ মিনিট পর্যন্ত চলে । আমাদের প্রতিদিনের পেন্সিল ব্যাটারির মত । বাহ !
মূত্রফ্যাক্ট # ৫
জরুরী অবস্থায় , সার্ভাইভাল সিচুয়েশনে চাইলে মূত্রকে চোখ পরিষ্কার সলিউশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন । বিপদে পড়লে সব জায়েজ , জেনে রাখতে সমস্যা কই ?
মূত্রফ্যাক্ট # 6
৬ নাম্বার এবং সর্বশেষ এই ফ্যাক্ট কে "টিপস & ট্রিক্স" বা সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট ও বলতে পারেন । একটি পরিষ্কার সাদা পলিথিনে প্রস্রাব ভরে মুখটা শক্ত করে বেধে আপনি আতশি কাচের কাজ করতে পারবেন । সূর্যের আলোকে পলিথিনে থাকা মুত্রের ভিতর দিয়ে কালো কাগজে ফোকাস করলে ধোয়া ওঠা শুরু হবে এবং একটু পরে আগুন জ্বলা উঠবে । ওয়াও !!! সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই ট্রাই করবো ।
ত্যাগেই সুখ , বিসর্জনেই শান্তি । small p(ee) , Capital PEE , আজ এত টুকু ই ।