জিম্বাবুয়ে আজ যে ক্রিকেট খেলেছে এটা হচ্ছে ঠিক এক দেড় বছর আগের বাংলাদেশের খেলা। আর বাংলাদেশ যেটা খেলল সেটা হল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ২০১৫ এডিশনের নবজাগরণের চলমান প্রবাহধারা। একসময় আমরা সম্মানজনক পরাজয়ের জন্য ক্রিকেট খেলতাম, আর এখন ক্রিকেট দুনিয়ার রথী মহারথীরা চরম অসম্মান বুকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরত যায়। অনেকে আবার ভয় পেয়ে ফালতু অজুহাত দেখিয়ে সফর বাতিলও করে।
একশর কাছাকাছি রানে চার উইকেট হারিয়েও যে রানের চাকাটাকে ২৭৩ এ নিয়ে যাওয়া যায়, প্রায় দেড়শ রানের একটা জুটি করে প্রতিপক্ষের আক্রমণকে পাল্টা আক্রমণ হিসেবে ফেরত দেয়া যায়, এহেন পরিস্থিতিতেও বলে বলে রান করে সেঞ্চুরি হাঁকানো যায়, রান করতে না পারার যন্ত্রণা যে বোলিং দিয়ে পুষিয়ে নেয়া যায় এর সবকিছুই আপনাকে ২০১৫ সালের এই নতুন সংস্করনের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাছে শিখতে হবে। ক্রিকেট খেলাটা গায়ের জোরের খেলা না, এটা মনের জোরের খেলা। আত্মবিশ্বাসের খেলা। জেতাটা অভ্যাসে পরিনত হলেই অটোমেটিক আত্মবিশ্বাস বহুগুনে বেড়ে যায়।
আর একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল টীম এফোর্ট। সবদিন সবার সমান যায়না। কিন্তু যার যেটুকু সাধ্য আছে সে অনুযায়ী নিজেরটা নিংড়ে দিলেই ইন্ডিভিজুয়াল এফোর্টগুলো টীম এফোর্টে পরিণত হয়। শুধু ক্রিকেট না, যেকোনো ধরনের খেলা বলুন- রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক উন্নয়ন বলুন টীম এফোর্টের কোন বিকল্প নেই।
ওয়েল প্লেইড জিম্বাবুয়ে। বেটার লাক ফর নেক্সট ম্যাচ। তোমরা সেই পুরনো বাংলাদেশ দলের কাছে পরাজিত হওনাই, হেরেছ টাইগারদের আত্মবিশ্বাসের কাছে।
পুনশ্চঃ আহারে, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই টীম এফোর্ট যদি সমগ্র জাতির(বিশেষ করে নেতাদের) রন্ধ্রে প্রবাহিত করানো যেত!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১