পদার্থবিজ্ঞানে অধিকাংশ বিষয়ের একককেই তার আবিষ্কারকের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন, বলের একক নিউটন, চাপের একক প্যাসকেল, তাপমাত্রার একক সেলসিয়াস কিংবা কেলভিন, শক্তির একক জুল, রোধের একক ওহম, ম্যাগনেটিক ফ্লাক্সের একক ওয়েবার ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি অনলাইনে যা লিখি তার বেশিরভাগের কনসেপ্ট বাথরুমে বসা অবস্থায় আমার মাথায় আসে। আজও তার ব্যাতিক্রম নয়। আজ বাথরুমে বসে একটি অতি সঙ্গত কারনে (যা আপনাদেরকে বলতে পারছিনা) আমার এক ছেলেবেলার বন্ধুর কথা মনে পড়ে গেল।
আমার সেই বন্ধুর নাম ছিল...... থাক নাই বললাম। সে ছিল ঘাপলার একক। আমাদের বন্ধুদের মাঝে কেউ কোন ঘাপলা করলেই আমরা বলে উঠতাম এক সুমন ঘাপলা করছে। এই রে! নাম তো বলেই ফেলেছি। যাই হোক, আপনাদের সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, সেই ঘাপলার একক আমিই ছিলাম।
কলেজে পড়বার সময় আরও অনেক একক আবিষ্কৃত হয়েছিল। যেমন চরিত্রহীনের একক, বিড়ি খাওয়ার একক, মেয়ে পটানোর একক, ছ্যাকা খাওয়ার একক, মালের একক (উইথ ডিউ রিগার্ডস টু মাননীয় অর্থমন্ত্রী) ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ যদি এদের নাম বলি তাহলে হয়ত আমার উপর চোরাগুপ্তা হামলা হতে পারে। আমার জীবনের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে কি?
ঈদ এলেই আমাদের সেই এককগুলার কথা বারবার মনে হয়। বুকের ভেতরটা ভয়ানক শূন্যতায় খা খা করে ওঠে। "কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই" গানটা বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। চোখের কোনে দু একফোঁটা জলও উঁকি দেয়। মুছতে ইচ্ছে করে না। বুকের ভেতর শুন্যতা যেমন করে খুব সযত্নে জমিয়ে রেখেছি, ইচ্ছে করে অশ্রুর টুকরোগুলোকেও ঠিক একইভাবে জমিয়ে রাখি।
ভাল থাকিস তোরা। আমিও ভাল থাকবার চেষ্টা করব। যেমন করে ভাল আছে আমাদের মরিচা ধরে যাওয়া প্রাচীন স্মৃতি-বিস্মৃতি!!!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৯