আমি যেন এক জাতিস্মর; পূর্বজন্মে কবি ছিলাম
এই কথা ভেবে ভেবে শুধু গিলি তৃপ্তির ঢোক,
জানালার গ্রীলে মাথা কুটি, চুল ছিঁড়ি ভীষণ বিতৃষ্ণায়।
আমি কবিতা লিখতে পারিনা; কবিতা আমায়
ছেড়ে পালিয়েছে তেজস্বিনী স্ত্রীর মত(যেন আমি এক অনুর্বর স্বামী)
আমি যেন অন্ধ পথিক পাড়ি দিতে চাই কবিতার
শ্বাপদসংকুল ও কণ্টকিত পথ।
আমি যেন এক জাতিস্মর, পূর্বজন্মে হোমার ছিলাম।
কবেকার শ্রাবণ রাতে, লিখেছিলাম এক
বালিকাবধূর শরীরকাব্য। তারপর আমার অপদার্থ কলম
লিখেনি একটিও ধুসর শব্দ। সেই থেকে নির্বাক
আমার বুক এবং মুখ। সেই থেকে আমি বধির ও মুক।
আমি যেন এক জাতিস্মর, পূর্বজন্মে নজরুল ছিলাম।
আমার বুকের খাচা ভেঙ্গে অকস্মাৎ উড়াল দিয়েছে
সব কবিতা। সেই থেকে আমি অপার হয়ে বসে আছি
আরশী নগরের পানে চেয়ে।
আমি যেন এক জাতিস্মর, পূর্বজন্মে লালন ছিলাম।