খাসির মাংস (হাড় সহ) ১ কেজি
পোলাওয়ের চাল ( দেশী কালিজিড়া ভালো, নাইলে বাসমতি ) ১ কেজি
পেঁয়াজ ২ টা (বড়)
লেবুর রস ১/৪ কাপ
আদা রসুনের পেস্ট ৬ টেবিল চামচ
লাল মরিচের গুড়া ১/২ টেবিল চামচ ( ইচ্ছা হইলে )
কাঁচা মরিচ ৬ টা
এলাচ ৪ টা
কালো এলাচ ২ টা
দারচিনি ২ টুকরা ( ১" লম্বা )
তেজপাতা ২ টা
পুদিনা পাতা ১/২ কাপ
ধনিয়া পাতা ১/২ কাপ
টক দই ১/২ কেজি
ঘি ২ টেবিল চামচ
তেল ২ কাপ
লবন ( পরিমাণ মতো )
সেফ্রন ( ২ চিমটি ১ কাপ পানিতে গুলানো )
টমাটো ১ টা , কিউব করা
খাসির মাংস ভালো করে ধুইয়া একটা গামলায় লন। টক দই, আদা রসুনের পেস্ট, লেবুর রস, সামান্য লবন, তেল দিয়া ভালো কইরা মাইখা গামলার মুখ বন কইরা ব্লগিং এ বইসা পরেন।২ ঘন্টা ব্লগিং এর পর আইসা দেখবেন মাংস মোটামুটি ম্যারিনেট হইয়া গেছে।
তয় সেরম ম্যারিনেটের জন্য সারা রাইত রাখতারেন।
এইবার চাল ধুইয়া একটা গামলায় রাখেন। একটা হাঁড়িতে ঘির গরম করেন। পেঁয়াজ কুচি দিয়া লাড়াইতে থাকেন। লাড়াইতে লাড়াইতে যখন দেখবেন পেঁয়াজ নরম হয়ে গেছে তখন এলাচ, কালো এলাচ, দারচিনি,তেজপাতা দ্যান। কিছুক্ষন লাড়ান। এই সময় লবন দিতারেন। লবন দিলে পেঁয়াজ পুড়বো না ( টিপস )
এই বার চাইল ঢাইলা দেন হাঁড়িতে। চাইলের মধ্যে ১ চামচ আদা রসুন পেস্ট, সামান্য লবন দিয়া ভালো কইরা ভাজা শুরু করেন। যখন দেখবেন চাল হাঁড়ির নিচে আটকাইয়া যাইতাছে তখন গরম পানি এমন ভাবে ঢাইলা দেন যাতে পানি চাইল থেইকা ১" উপরে থাকে।
কিছুক্ষন পর যখন দেখবেন পানি কমে আসছে, চাইলের মধ্যে বুদবুদ কম তখন হাড়ি উপরের চাল তুইলা আরেকটা গামলায় রাখেন।
আধা সিদ্ধ চাইলের উপরে ম্যারিনেট করা মাংস ঢালেন। মাংসে উপরে পাশের গামলায় রাখা কিছু আধা সিদ্ধ চাল ঢালেন। এর উপরে কুচি কুচি করা পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ ফালি ছিটাইয়া আবার এর উপর বাকি চাল ঢাইলা দেন। চাইলের উপর সেফ্রনের পানি ঢাইলা হাঁড়ির মুখ ভালো করে সিল কইরা দেন। হাঁড়ির ঢাকনার চার পাশে আটা দিয়া বন করবেন। এইভাবে হাঁড়িটারে ২ ঘন্টা রাইখা দেন। এই টারে দম বলে।
১ ঘন্টা পর হাঁরি হইতে কাচ্চি সার্ভিং ডিশে ঢালেন। এর উপরে টমাটো কুঁচি, পেঁয়াজ ভাজা ছিটাইয়া খাওয়া শুরু করেন।