চার.
অণৃন্য, বিপ্লব রহমান, মাসুম ভাইয়ের জীবন্ত সংবাদ প্রবাহ যেমন তাৎক্ষনিক সংবাদ পেতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি আরাফাতুলের হেবো গল্প বেশ মজা দেয়।
তবে ব্লগে তথ্যবহুল লেখার প্রচুর অভাব লক্ষ্য করেছি। তারপরো অনেক লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে যা ব্লগে না আসলে কখনই সম্ভব হতো না।
আরিফ জেবতিক, শুভ ভাইয়ের আবেগময় কিন্তু কঠিন যুক্তিময় লেখাগুলো পড়তে পেরেছি। ভ্যালেরি মুভমেন্টের সময় আরিফ জেবতিকের লেখা ও নেতৃত্ব মনে থাকবে অনেক কাল।
জামাল ভাস্কর সম্ভবত ব্লগের একমাত্র বামপন্থি, উনার অনেক লেখাই মাথার উপর দিয়ে গেলেও ভাবার প্রেরনা যুগিয়েছে প্রতিনিয়ত। রাজনীতি ও সমাজ নিয়ে উনার স্পস্ট অবস্থান ও কথন ভালো লেগেছে। প্রথম অবস্থায় একবার রাপাং খাপু নামে এক ব্লগারের সাথে উনার বিতর্ক উপভোগ করেছি অনেক।
পিয়াল ভাই এবং হাসান মোরশেদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা তথ্যবহুল লেখাগুলো সবসময় নিজের চেতনাকে জাগ্রত করতে সাহায্য করেছে। তবে মতের মিল না থাকায় এদের অনেকই আমাকে জামাতপন্থি বা সন্দেহভাজন বা মোল বলেছেন যা নিজেকে অনেকটুকুই আহত করেছে ( সম্ভবত এ ধারনা উনারা এখনো ধারন করেন !)।
তীরন্দাজ ভাইকে আমার প্রচন্ড সাদা মনের, বাস্তবমুখী , সাহসী ও সচেতন ব্লগার বলে মনে হয়েছে, যা তার ভক্তে পরিনত করেছে।
কৈশরের স্বপ্নের লেখক মাসকাওয়াথ আহসানকে ব্লগে পেয়ে কৈশরকে ফীরে পাই প্রতিনিয়ত।
সাদিকের কিছু লেখা ভালো লাগলেও তার কিছু লেখা তার অপরিপক্কতার প্রমান করেছে।
পাগলা হোসেইনের স্পস্ট বচন মুগ্ধ করে প্রতিনিয়ত। আমি যে তার এক ফ্যান সেটা মনে হয় সে জানে না ! আজ জানালাম।
ফাহমিদ ভাইয়ের পুরাতন লেখাগুলো নতুন করে পড়ার সৌভাগ্য হচ্ছে।
মিরাজ ভাইয়ের লেখা পড়ছি।
মানবীর অজস্র বানান ভুলে ভরা (আমার মতোই ) লেখাগুলো ভালো লাগে।
ডটেড রাসেলের রাসেলের লেখক ক্ষমতায় মুগ্ধ হই যদিও এই মানুষটি ব্লগ জীবনের প্রথম অংশে নোংড়া গালাগালী করে কস্ট দিয়েছিলো অনেক যা কখনই ক্ষমা করতে পারবো না। ডটেড রাসেলের মাঝে লেখক ক্ষমতায় ইর্ষান্বিত হয়েছি সব সময়ই, তবে এ প্রতিভাকে মনে হয় সে নিজেই ধ্বংশ করে ফেলছেন।
কৌশিকদা বা আড্ডাবাজের লেখা স্বভাবসুলভ মধ্যবিত্ত সুলভ। সময়ে আগুন ঝড়ালেও সেটা সময়মতোই গর্তে লুকিয়েছে। জলপাই শাষনের প্রারম্ভে আরিফ জেবতিক বা জামাল ভাস্করের স্পস্ট অবস্থান দেখা গেলেও আড্ডাবাজ বা কৌশিকের মতো ব্লগারকে চুপ মেরে থাকা অবাক করেনি।
মুখফোরের লেখাগুলো আসলেই মারাত্মক তবে মুখফোরের পেছনের লেখককে কেনো জানি ভালো লাগেনি কখনই।
সুমন চৌধুরি ওরফে সাধক শংকুর রাজনৈতিক লেখার সাথে সাথে বিভিন্ন রসালো রেসিপি আমার মতো খাদ্য প্রেমিককে প্রেমায়িত করেছে।
অপবাকের উপন্যাস আকৃতির রাজনৈতিক বিশ্লেষন পড়লেও ভালো লাগেনি, বড্ড একঘেয়ে।
ব্লগের সিরিয়াস ব্লগার রেজওয়ান ভাইয়ের ব্লগ সবময়ই ফলো করেছি ও করবো। দারুন এক মানুষ।
ব্লগার চোরকে দারুন মিস করি। ভালোলাগা-অপছন্দ-ভালোবাসা মেশানো এক ব্লগার। চোরের লেখা, কমেন্ট, কবিতা, তীব্র কিন্তু সরস কমেন্টগুলো ব্লগের সম্পদ হয়ে থাকবে। উনিও ব্লগে ছেড়ে চলে গিয়েছেন তবে অন্য নামে কমেন্ট করেন বলে আমার ধারনা। ব্লগ একটি নেশা !!
আরেক সরস-পছন্দের আগুন ব্লগার ধূসর গোধূলীকে মিস করি প্রতিনিয়ত।
আরো অনেকেই ব্লগ থেকে চলে গিয়েছেন, যাদের খুব একটা মিস করি না।
আস্তমেয়ের লেখক ক্ষমতা বা প্রতিভায় মুগ্ধ হলেও তার বিভ্রান্ত ধারনা দেখে অনেকসময় রেগেছি। ইসলামকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে জামাত প্রীতি মানতে পারিনি কোন সময়ই। তার লেখাকে অনেকসময়ই অন্যের দ্বারা লেখা মনে হয়েছে বিশেষ করে রাজনীতি ও ধর্ম নিয়ে লেখাগুলোকে। মাঝে মাঝে অবাক হই একজন মানুষ এতো প্রমান, এতো যুক্তির পরও কিভাবে অন্ধভাবে জামাতকে সমর্থন করেন। আল্লাহ উনার হেদায়েত করুন।
ত্রিভুজ , আশরাফ হোসেন , বিজলীর খড়ি বা ফজলে ইলাহীর মতো জামাতী ভন্ড, নব্য রাজাকারদের লেখা পড়তে না চাইলেও পড়েছি। ভাঙা কলের গানের মতো মিথ্যাচার পড়তে না চাইলেও শত্রুপক্ষের কথা জানতে সে সব পড়েছি ও কিছু ক্ষন পর পর টয়লেটে গিয়ে থুথু ফেলে এসেছি। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন।
পাঁচ.
সাহিত্যের প্রতি অনাগ্রহ মূলত ব্লগের কবিতা-গল্ল-উপন্যাসের প্রতি তেমন একটি আকর্ষন করে না।তারপরো নজমুল আলবাব, আনোয়ার সাদাত শিমুলের লেখা সবচাইতে বেশী টেনেছে, ব্লগের প্রিয় লেখক উনারা। জানা কিন্তু অজানা কারনে এরা আর লেখেন না এখানে।
অমিত আহমেদের লেখা পড়েছি, কোনটা দারুন, কোনোটা ভালো লেগেছে আবার কোনোটাবা মোটামুটি। অন্যতম পছন্দের লেখক।
মোহাম্মদ জুবায়েরর লেখা পড়েছি, তবে মাঝে মাঝে তা এতো ঝুলে গিয়েছে যে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছি।
হাসান মোরশেদের লেখা তেমন একটা আকর্ষন করেনি, যদিও উনার লেখনির স্টাইল অনুসরন করার চেষ্টা করি আমি।
মাহবুব মোরশেদের লেখা পড়েছি তবে সবগুলো ভালো লাগেনি। পোমো প্রজন্মের লেখা বলেই হয়তো !
পথিকের কবিতা বা রাগ ইমনের পাগলামী উপভোগ করতে পারি নাই।
শেখ জলিল ভাইয়ের সাথে পরিচয় উনার লেখার প্রতি আকৃষ্ট করেছে। অনেক মায়া নিয়ে উনি লেখেন।
ব্রাত্য রাইসুকে ক্ষেপানো খুব সহজ বলে উনাকে ক্ষেপিয়ে মজা পেয়েছি অনেক তবে উনার কবিতা মিস করিনি।
মাশার লেখা দারুন লাগে, তবে আজ কাল উনি আর লেখেন না ব্লগে।
আমি যাদের কথা বলছি তার মুলত প্রথম দিককার লেখক/ব্লগার। নতুন অনেকেই এসেছেন যাদের লেখা পড়ি তবে তাদের কথা আসবে আগামী বছরে।
----------
(চলবে..)
ছুটিতে যাচ্ছি, ফীরে এসে বাকি পর্বগুলো নামাবো )