কেউ বলে ভূত আছে, কেউ বলে নেই, আবার কেউ কেউ আছে কি নেই এটা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকে। কিন্তু সেই ভূতের ভয়েই কিনা গোটা গ্রামের মানুষ জমিজমা, ঘরবাড়ি সব ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যগ্রামে।
ভারতের উত্তরখণ্ডের চম্পাওয়াত জেলার অখ্যাত এক গ্রাম সওয়ালা। এখন অবশ্য ভূতের কারণে এই গ্রামেরই নামধাম ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। গ্রামটির নাম হয়ে গেছে ভূতের গ্রাম।
সওয়ালা গ্রামের মানুষজন ঘর ছেড়েছেন অনেক দিন আগেই। ঠিক কত বছর অাগে তা ঠিকঠাক বলতে পারলেন না কেউই। কিন্তু ঘটনা হলো, ওই গ্রামের পথে পা মাড়ান না কেউই। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তো অনুরোধে, উপরোধেও কেউ ওদিকে এক পা বাড়াতে রাজি নন।
ভূতগ্রামের পড়শিদের দাবি, সওয়ালায় বসত করে আট ভূত। গ্রামের আদি বাসিন্দাদের উৎখাত করে তারা আখড়া বেঁধেছে সওয়ালায়। এমনই তাদের রাজত্ব, অন্য কাউকে গ্রামে ঢুকতে দেখলে পথ আটকে দেয়। তাই যেতে পারেন না কেউ।
স্থানীয়রা বলেন, এই ভূতেরা একসময় আর্মি ছিলেন। অপঘাতে মৃত্যুর পর এ গ্রামেই রয়ে গেছেন। নিজেদের মতো তার একটা কাহিনীও শোনান গ্রামবাসীরা। ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন ওই জওয়ানরা। পথে এই সওয়ালার রাস্তায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের জিপ গাড়িটি। জওয়ানরা যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন, গ্রামের মানুষ তখন তাদের হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে নিজেদের মতো লুটপাট চালায়। একসময় ওই আট জওয়ানই মারা যায়। ভূতের উৎপাত শুরু, এর কিছুদিন পর থেকে।কী করে বুঝলেন জানতে চাইলে তারা জানান, গ্রামের রাস্তার যেখানে আর্মিজিপ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, সেই রাস্তায় সেই জায়গাতেই আরো ত্রিশটা গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, ওই জওয়ানরাই অদৃশ্য থেকে দুর্ঘটনা ঘটান, যাতে কেউ গ্রামটিতে ঢুকতে না পারে। কারণ একই জায়গায় বারবার দুর্ঘটনা, তাদের চোখে স্বাভাবিক বলে মনে হয়নি। মনে হয়েছে, এভাবেই প্রতিশোধ স্পৃহায় মেতেছে ওই জওয়ান ভূতেরা। সত্যমিথ্যে যাই হোক, যাবেন নাকি একবার সওয়ালায়?
প্রতিদিনের আরো তথ্যপূর্ণ খবর জানতে আমার ব্লগ একবার ঘুরে আসতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭