ড্রোন বানানোর উদ্যোগ নিয়ে শুক্রবার বিকালে নাবিল কথা বলেন। তিনি জানান, নতুন বছরের শুরুতেই তারা ড্রোনের একটা পরীক্ষামূলক ডিজাইন তৈরি করেছেন। এখন চলছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস সংযোজনের কাজ।
ড্রোন তৈরি দলের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন শাবিপ্রবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
নাবিল ছাড়াও ড্রোন-গবেষক দলে আরও রয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র রবি কর্মকার এবং ২য় বর্ষের ছাত্র মারুফ হোসেন রাহাত। তারা সকলেই সাস্ট রোবস্টিক্স অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের সদস্য।
নাবিল বলেন, ‘আপাতত আমরা নিজের টাকাতেই ড্রোন তৈরির কাজ শুরু করেছি। তবে কোনো স্পন্সর পেলে এটা আরও বড় আকারে এবং দ্রুত শেষ করা সম্ভব। তবে স্পন্সর না পেলে স্বাভাবিকভাবে এপ্রিলেই শাবিপ্রবির আকাশে ড্রোনটি ওড়ানোর আশা করছি।’
এই ড্রোন দিয়ে দেশের সীমানা পাহারা দেয়া, ওপর থেকে তাত্ক্ষণিক ছবি তোলা সম্ভব হবে। এছাড়া আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। দেশের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী এটি ব্যবহার করে তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজ করতে পারবে বলে জানান নাবিল।
নাবিল উল্লেখ করেন, রেলে যেভাবে নাশকতা বাড়ছে তাতে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। ড্রোন দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। অর্থাত্ রেললাইনের পাহারার কাজ করবে ড্রোন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটা ব্যবহার করে দেশের যে কোনো স্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
নাবিল জানান, গত বছরের এপ্রিল থেকে তারা ড্রোন তৈরির তাত্ত্বিক কাজ শুরু করেন। এরপর চলতি বছরের শুরু থেকে তারা মূল কাজগুলো শুরু করেছেন। আর তিন মাস পরেই ড্রোন আকাশে ওড়ানো যাবে।
শান্তিপূর্ণ কাজে ড্রোন ব্যবহারের নানাদিক তুলে ধরে নাবিল বলেন, ‘বিশেষত আইনশৃঙ্খলা বহিনী তাদের চাহিদা অনুযায়ী ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ড্রোনের বিভিন্ন ডিভাইস অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব।’ ড্রোনটি সহজ পদ্ধতিতে চালনা করা যাবে বলে জানান নাবিল।
সাম্প্রতিক বিশ্বে ড্রোন একটি আলোচিত যন্ত্র। অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন যেমন রাডার ফাঁকি দিয়ে একটি দেশের ভিতর অনায়াসে ঢুকে পড়তে পারে, তেমনি দূরনিয়ন্ত্রিত এসব চালকবিমান লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে পারে নির্ভুলভাবে।
ড্রোনে ক্যামেরা থাকে। ওই ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত ভিডিওচিত্র ভূমি থেকে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ, শত্রুদের বেতার ও রাডার সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটানো, আড়ি পেতে তথ্য জোগাড় করা থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে চালকহীন এই বিমান।
এসব বিমান পাইলটবিহীন হওয়ায় যুদ্ধে পাইলটের মৃত্যুঝুঁকি থাকে না। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিমান ব্যবহার করা যায়। বিশ্বে প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাওয়া উন্নত বেশ কয়েকটি দেশ ড্রোন ব্যবহার করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, ভারত ও ইসরাইল উল্লেখযোগ্য।
আরো পড়ুনঃ
বাংলার আকাশে নতুন 'অতিথি'!
এক হাজার গাড়ি পুড়িয়ে নববর্ষ পালন করলো ফ্রান্স!
নগ্ন হয়ে ঘুমানোর স্বাস্থ্য উপকারিতা!
এক মহিলার পেটে ৪০ বছরের শিশু
চুম্বন কমাবে শরীরের অতিরিক্ত ওজন!
Visit my amazing blog: http://beb24.blogspot.com
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৪