২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বাংলাদেশের জন্য একটি শোকাবহ দিন, ৪৫ টি তরতাজা প্রাণ ঝড়ে গেল বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকান্ডে।
ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
এটা প্রথম নয়, বহুতল ভবনে এরকম বড় ধরনের দূর্ঘটনা বাংলাদেশ আরো দেখেছে। দেশে প্রচুর মূল ধারা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক প্রচুর মিডিয়া থাকাতে শুরু হয়ে যায় ব্যাপক খবর পরিবেশন, তোলপাড়। এরপর? আবার যেই লাউ সেই কদু!
সমস্যা গোড়ায়। প্রথমতঃ ঐ ভবনে রেস্টুরেন্ট স্থাপনের কোন অনুমতি নেই, মানে ভবনটা ঐ ডিজাইনেই বানানো হয় নি। এটার বাণিজ্যিক অনুমোদন ছিল মূলতঃ অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য।
১। রাজউক এটা নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।
২। এই রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। তারা এই ভবনের রেস্টুরেন্ট পরিচালনার অনুমতি আছে কি না সেটা দেখেনি। এদের অপরাধ রাজউকের চেয়ে বেশী!
৩। ফায়ার সার্ভিস ইন্সপেকশন করে ৬ মাস আগেই এই ভবনকে অগ্নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঝুকিপূর্ণ নোটিশ দিয়েছে। কিন্ত, কোন আইনগত পদক্ষেপ নেয় নি।
সম্ভবতঃ প্রতিটি সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থার লোকজন নিজেদের পকেট ভারী করার দিকেই বেশী মনোযোগী ছিল। আপনি নিশ্চিত থাকেন, এবারও এদের কারোই কিছু হবে না, কারণ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিটি সরকারি যন্ত্রের এই দূর্ঘটনা ঘটার ফলে আরো পকেট ভারী করার সুযোগ হল!
সর্বোপরি, এই দেশের অধিকাংশ মানুষ আইন ভাংগতে অভ্যস্ত এবং আইন ভেংগে কোন কিছু অর্জনকে এরা গর্বের ব্যাপার মনে করে। দুনিয়ার কোন শক্তি এদের নৈতিকতাকে সম্ভবতঃ ঠিক করতে পারবে না। মৃত্যুর পরে সব কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহি করতে হবে, এই বিশ্বাস যারা মনে বসাতে পারবে, তারাই আশা করা যায় নিয়ম মেনে চলবে।
পত্র-পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হবে, মিডিয়ায় টক শো হবে, অনেক Technical তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হবে, কিন্তু এই উপদেশ কেউ গ্রহণ করবে না, এই জীবনে যতটুকু দেখলাম, এই দেশের মানুষ করেনি।
দিন শেষে ভাববেন, বেঁচে আছি, এটাইতো বেশী! আলহামদুলিল্লাহ!