পরীক্ষা টরীক্ষা সব শেষ। এখন আছি কিছুটা রিলাক্স মুডে। কাল অনেক রাত জেগে ছিলাম সুনীল বাবুর কাকাবাবু নিয়ে। তাই ঘুম থেকে উঠতে একটু বেলা হয়ে গেলো। যদিও হবু মিসেস সুমন ফোন না দিলে ঘুমটা আরো দীর্ঘায়িত হতো।
ফোন করে জিজ্ঞাসা করলো কুম্ভবাবুর ঘুম কি ভেংগেছে?? আমি বললাম কক্ষোন। একটু জোর গলাতেই বললাম যাতে বুঝে না ফেলে যে এইমাত্র উঠেছি। বললো ঘুম কেমন হলো?? বললাম দারুন। সাথে তেল দেওয়ার জন্য বললাম তোমাকে নিয়ে আজ সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখেছি।
স্বপ্নের কথা শুনে দেখলাম ও উচ্ছেসিত। বললো কি স্বপ্ন?? অভিমানি সুরে বললো প্লিজ তাড়াতাড়ি বলনা। আমি শুরু করলাম। আসলে স্বপ্ন টপ্ন কিছু না। ওকে আজ একটু রাগানোর ইচ্ছে হলো। তাই স্বপ্নের নামে গল্প ফাঁদলাম।
বললাম তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। দুজন হাতে হাত ধরে হাটছি। এতোটুকু শুনেই দেখলাম ও ভীষন পুলকিত। আসলে ওর ভীষন ইচ্ছে আমার হাত ধরে হাঁটার। আমি বছরের বেশীরভাগ সময়ই বাইরে থাকি তাই এই সুযোগ তেমন হয়না।
ও বললো তারপর তারপর। আমি বললাম এতো ব্যস্ত হচ্ছো কেন?? বলছি তো বাবা। আবার শুরু করলাম। বললাম হাটতে হাটতে আমরা অনেক কিছু দেখলাম। পাখিদের গান শুনলাম। দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলের মাঠ দেখলাম। ও দেখলাম আনমনা হয়ে অধীর আগ্রহে আমার স্বপ্নরুপী গল্প শুনছে।
এখনি মোক্ষম সময় ওর ধ্যান ভংগ করার। গল্পে ক্লাইমেক্স আনলাম। বললাম হাটতে হাটতে আমি আর তুমি পা পিছলে রাস্তার দুই পাশে দুই খাদে পড়ে গেলাম। এ কথা শুনে ও সম্বিত খুজে পেল মনে হলো। বললো তারপর। আমি বললাম খাদ থেকে উঠে দেখি আমার গলা অবধি মলে ঢাকা আর তোমার হালুয়াতে।
ও খানিক চুপ করে থাকলো। মনে হয় চিন্তা করছিল আমি ওকে বেকুব বানাচ্ছি কিনা। তারপর অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। বললো ঠিক হয়েছে। আল্লাহ উচিত বিচার করেছে। আমি উদাস মনে বললাম, কি আর করা। স্বপ্নের উপর তো আর কারো হাত নেই।
ও পরবর্তী কাহিনি শোনার জন্য অপেক্ষা করছে। আমি ক্লাইমেক্স চেন্জ করলাম। বললাম মল হোক আর হালুয়াই হোক গায়ে নিয়ে তো আর ঘোরা যাবেনা। তাই আমরা পানির সন্ধানে হাটতে থাকলাম। ঘন্টা দুয়েক এদিক ওদিক খোজাখুজির পরও কোন পানির উৎস পেলাম না। তখন সিদ্ধান্ত হলো আমরা একে অপরের শরীর চেটে পরিস্কার করবো।
ও গম্ভীরভাব নিয়ে চুপ করে আছে। যেকোন সময় সাইক্লোন শুরু হতে পারে। একটু পরে ভীষন রাগে ফেটে পড়লো। বললো আমার থেকে দুরে থাকবি। তারপর খটাস করে ফোন কেটে দিলো।
আমার উপর এখনো রেগে আছে ও। ভাবেনি নিজে এমন বেকুব হবে। একটু আগে ফোন দিয়েছিলাম। বললো এই কুত্তা তুই আমাকে ফোন দিবিনা আর। তারপর আবার খটাশশশশশশ!!!!!!!!!!!