হুমায়ূন আহমেদ-এর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমার মন খুব খারাপ হয়ে আছে। খুব মায়া লাগছে তাঁর জন্য। অনেক কষ্ট পাচ্ছি আমি। আমার পরীক্ষা চলছে। মন খারাপ করে সাময়িক পরীক্ষা দিলাম।
হুমায়ূন আহমেদ আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখক। তাঁর লেখা পড়ে আমি একা একা হাসতাম। তাঁর লেখা তো আমার সঙ্গে কথা বলে, দুষ্টুমি করে আর মজা করে। কোনো কারণে আমার মন খারাপ হয়ে গেলে আমি তাঁর বই পড়ি, বইয়ের সঙ্গে কথা বলি তখন সত্যি সত্যি আমার মন ভালো হয়ে যায়। তাঁর নাটক মানেই আনন্দ, হাসি আর রহস্য। এখন তাঁর জন্যেই মন ভীষণ খারাপ হয়ে আছে। মনে হচ্ছে তিনি বলছেন, “আমি যে মরে গেছি, আর তো লিখতে পারব না তোমাদের জন্য।” তখন আমি বলেছি, “কোনো চিন্তা কইরেন না, দেইখেন, আপনার অভাব আমরাই পূরণ করে দেব ইনশাআল্লাহ্।”
তিনি বেঁচে থাকলেই তো আমাদের উপকার হতো বেশি। তিনি তো দিন-রাত লিখেছেন আমাদের জন্য। তাঁর লেখা পড়ে আমরা অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। অনেক দুখের মাঝেও মনে শান্তি খুঁজে পেয়েছি।
হুমায়ূন আহমেদকে আমি কখনও চোখে দেখিনি তবে মনে মনে দেখেছি। তাঁর লেখা যখন পড়ি তখনই তাঁর সাথে আমার দেখা হয়ে যায়। তাঁর লেখা পড়তে গেলে মনে হয়, তিনি এই লেখাটা লিখেছেন আমার জন্য, আমার মতো করে। অনেক সরল-সহজ ভাষায় মজা করে লিখেছেন তিনি। তাঁর লেখার ঘটনার সাথে আমিও মিশে যাই। প্রথম ভালোবাসি তাঁর লেখাকে পরে আপনাআপনি ভালোবেসে ফেলি লেখককে। তাঁর লেখাগুলো যেমন আমার মনের মাঝে আছে তেমনি লেখকও আছেন আমার মনের ভেতরে। এখন লেখাগুলো আগের মতোই আছে। আর লেখকটা গেলেন মরে। মরে গেলেও কোটি কোটি মানুষের মনে বেঁচে থাকবেন আমাদের প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ।