তোমাকে ভালোবাসার অজস্র বছরের খেয়ালী সুখ সবখানে
প্রজাপতির মত বর্নালী উপমায় ঘিরে থাকে।
সেই যে শাহবাগের সিনোরিটা থেকে শুরু করে
মৌলি,সিলভানা এবং
সোবহানবাগের স্নো হোয়াইট।
বিকালের হলুদ কনে দেখা রোদ থাকতেই ফিরতে হতো।
হলের গেটের কাছে ফিরতেই তোমার মুখ জুড়ে বিষণ্নতার মেঘ।
হাতের মুঠো ভরে দিতাম কত প্রিয় সব গন্ধ।
বেলী,বকুল,কামিনী।
আরো কত্ত প্রিয় ফুলের সুগন্ধী সব।
কিছুতেই মন ভরতো না তোমার!
আবার ফিরে যাওয়া সেই রিকশা ভ্রমন!
এবং কিছু পরেই আবার ফিরে আসা।
আকাশের দিকে তাকানো তোমার দু'চোখে তখন মধুর মুগ্ধতা।
হ্যাভক হ্যা হ্যাভকই কারণ!
সেইসব সোনালী দিন টুপটাপ চলে গেলো।
ক্যালেন্ডারের পাতায় জমানো সেইসব দিন সাদা কালো ছবির মতন ধূসর
অথচ চাইলেই ছুঁতে পারি যেনো!
ভালোবাসা কাছে এলে বিকালের রোদ্দুরের মতন ম্লান হয়ে যায়কি?
যাপিত জীবনের সুখ,দুঃখ অভিলাষে
হারাতে থাকে সেইসব সুখচারী দিন।
মাঝে মাঝে আক্ষেপ হয় তোমার।
যোগাযোগের সেতুতে বসে থাকে একান্ত বিষাদ।
মনে ভাবো, কত কিছু হতে পারতো।
কত লুকোচুরি অভিলাষের ঘোর।
অন্ততঃ হাইলী পেইড কোন রেষ্টুরেন্টে বসে ঝলমলে কিছু সুখ কেনা যেতো রঙীন!
নুয়ে থাকে চোখ আমার।
একা হয়ে ঘুরি এই হীম বনভূমে!
মানুষের পাশাপাশি থাকা।
ভালোবাসাবাসি।
যতোটুকু আলোকিত হয়ে থাকে মানুষ তা শুধু নিজেরই অভ্যাসে।
মানুষ মূলতঃ খুঁজে ফেরে
নিরন্তর নিজেকেই । চাঁদের ঘোরে।
চাঁদের দোষ?
মানুষের ভিতরে ভীড় করে থাকে অচীন মানুষ!
হৃদয়ের বাসভূমে জমে থাকা যত সুখ পাতা ছবি।
মানুষ জানে, সেই সুখটুকু ছায়ার মতন ঘুরে বেড়ায়।
নিজেকে খুব একা ভাবার একশো দুইটা কারন সবারই থাকতে পারে।
আমার তোমার এবং অনেকের।
"আমার আঁধার ঘরের প্রদীপ যদি নাইবা জ্বলে"
প্রিয় গান আহা!
বারীন মজুমদার বহুদিন পর খুঁজে পাই সেই সুরভিত সুরাসুর।
মনে পড়ে রাখাল?
সেইসব দিন?
নিজেকে চেনার মওশুম এসেছিলো আজ।
আলনায় কাপড় তাক তাক করে রাখার মতন ।
একে একে সেই যে ঝিকিমিকি সেইসব দিন।
উথাল পাথাল সমুদ্রের ঢেউ এ পাগলপারা এক একটা দিন!
ইচ্ছে করে তোমার মুঠো ভরে দেই সেই প্রিয় গন্ধ তোমার।
হ্যাভক ,এখনো আমার প্রিয় সুগন্ধী।
ভালোবাসলে মানুষ চিরটাকাল শুধু ভালোবাসে।
মনে রাখাটাও ভালোবাসারই মতন।
তোমার কানে কানে বলতে ইচ্ছা করে
রাখাল,
আমাদের না দেখা হওয়া এক একটা দিন আজো
অনেক দীর্ঘ মনে হয়।
মনে হয় একটা বিশাল অজগর গিলে খাচ্ছে আমার একা হওয়া সময়।
যে তুমি আমাকে হাত ধরে এনেছিলে ভালোবাসার বাসভূমে।
যে তুমি শিখিয়েছিলে কি করে মহাশূন্যে যেতে হয়।
যে তুমি বলেছিলে," তুমিহীনা এই নিরঞ্জন যুবা একাকী হয় অন্ধকারে"।
যে তুমি বুঝতে শিখিয়েছিলে স্পর্শ নামে এক তারা আছে ভালোবাসার আকাশে।
ভালোবাসার কাছে চিরটাকাল যেমন করে নতজানু হয় মানুষ।
আমি ,তুমি এবং অনেকেই! পৃথিবীর কত কোটি কোটি মানুষ।
পৃথিবীর সবকিছু খুব ভালো লাগে, যখন তুমি বলো আমায় বলো,
"তুমি অসাধারন"।
এই একটা কথাতেই কত কিছু যে হয়।
মনের বনে জোছনা নামে।
সেই জোছনার বৃষ্টিতে ভিজে হয়ে যাই নীল ময়ূরী!
স্পর্শ নামের সেই তারাটি হয়ে জ্বলি ভালোবাসার নীল আকাশে......
(ছবি নেট থেকে পাওয়া)