৭০) আসমানী,ঘাসফড়িং এবং আমার বাবা
শহরের শেষপ্রান্তে আমাদের বাসা ছিলো।
আমার আর আসমানীর।
আমার ছেলেবেলার প্রথম বন্ধু।
যখনি যেখানে যাই ।
দু'জনায়।
যখনি নয়নতারার ঝোঁপে প্রজাপতি দিন
সবখানেই আসমানী আর আমি।
একবার অনেকদুরে চলে গিয়েছিলাম দু'জন।
ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে হাঁটতে হাঁটতে
পুরাতন এয়ারপোর্টের রানওয়েতে।
ওখানে আর প্লেন ওড়েনা।
আমরা হাত ধরাধরি করে
বিস্তীর্ণ সেই পিচ ধালা পথ এ
ঘাসফড়িং এর পিছে পিছে আরো বহুদুর।
ফিরে আসা তখনো শিখি নাই।
শুধু যাওয়াটাই প্রধান।
শেষ বিকেলের ছায়া দেখে
দু'জনের চোখে ভয়।
ঘাসফড়িংরাও পথ চেনে নাই।
এমনকি বিরাট বটগাছটার ঈগল দু'টোও।
হঠাৎ আলোর ঝলকানি হয়ে
আমার বাবা এসেছিলো।
কি করে বাবারা সব জেনে যায়
সেই কথা আজো জানা হয় নাই।
শুধু মনে আছে বাবাকে দেখেই
সেকি কান্না দু'জনার।
আসমানী আর আমার সেই প্রথম হারিয়ে যাওয়া।
বহু বছর পর আজোবধি সেই আসমানীকে আর
ঘাসফড়িংদের হারাই।
আর সবচেয়ে বেশী হারাই আমার বাবাকে।
হৃদয়ে হারাই।
সবখানে হারাই।
পৃথিবীর কোথাও খুঁজে পাইনা আর তন্ন তন্ন করে।