বষুনধরা সিটি বাসার খুব কাছে হওয়ায় প্রায়ই সেখানে যাওয়া হয়।সেদিন শুক্রবারেও গেলাম।রোজার জন্য কোথাও বের হতে মন চায়না।এটা কছে দেখে যাই।সেদিন বিকেলে গিয়ে লিফটের জন্য লাইনে দাড়িয়েছি।দেখি গার্ড খুব কড়া।কাউকে লাইনের বাইরে যেতে দিচ্ছেনা।খুব ভালো লাগলো। আমার বোন আর আমি ভাবলাম ঈদ উপলক্ষে মনে হয় এই বিশেষ ব্যবস্থা।আমরা বলাবলি করছিলাম ভালো একটা কাজ করছে......একে বকসিস দেয়া উচিত।মাঝে মাঝে এমন কিছু লোক আসে যারা পরে এসে আগে কাজ শেষ করতে চায় এদের কে আমার এত বিরক্ত লাগে।যাই হোক মারকেটে গিয়ে তো দেখি ভিষন ভীড়।দেশি দশে গিয়ে মনে হলো ময়লাও যদি একটা রেপিং পেপারে ভড়ে রাখা যায় মানুষ মনে হয় কিনে ফেলবে। এমন অবস্থা।আমার বোনের কাজ শেষ করে ও চলে গেলো। আমি একা একা কিছুক্ষন শপিং করে নেমে আসছি দেখি লিফটে একটা কিউট হুজুর কাপল।হুজুরটা ইয়াং ,মে বি ব্উ ই হবে সেও ইয়াং কিজানি উনার মুখ দেখা যাচ্ছিলোনা।হুজুরটা বউটা কে একদম আগলে রেখেছিলো।ভিড়াভিড়ির মধ্যে ওরা দুজন যেন আলাদা একটা জগৎ করে ফেলেছিলো।দুজন মুখোমুখি লাগালাগি দাড়ি্যে।কিজানি ফিস ফিস করছিলো বউয়েরট সাথে আর মিটিমিটি হাসি।হুজুরটা অনেক কিউট ছিলো দেখতে।ব্উটার মুখ পুরা ঢাকা। আমি অনেক কান পাতার ট্রাই করলাম যে কি বলে একটু শুনি।কিছুই বুজলাম না।শুধু হুজুরটা বার বার ক্রেজি ক্রেজি বলছিলো বউকে। আমার খুব ভালো লাগছিলো ওদের দেখতে।হাসতে হাসতে বাসায় ফিরলাম। আবার সন্ধায় যেতে হলো।
যথারিৎি লাইনে দারিয়েছি লিফটের জন্য। সবাই লাইনে এক মহিলা ৩২/৩৩ বছর হবে চুইংগাম চিবাতে চিবাতে একদম সামনে লাইন থেকে আলাদা দাড়ালো।কিছুলোক বলাবলি করলো লাইনে দারান। সে মহিলা চিৎকার করে বললো এটাই লাইন। আমি লাইনেই দাড়িয়েছি।তখন বাকীরা বললো তাহলে আমরা কোথায় দারিয়েছি? উত্তর দিলো এটাও লাইন ওটাও নাকি লাইন।উচ্চস্বরে বলতে লাগলো আমার ইচ্ছা আমি এখানে দারাব কোনো সমস্যা?কি করবেন বলেন।করতে পারলে করেন। গার্ডরাও দেখি কিছু বলেনা।মহিলা বলতে লাগলো জানেন আমি কে.।দেখি কে কি করতে পারে আরো হাবিজাবি বলতেই লাগলো।আর লিফটের কিছু মানুষের সাথে ঝগরা করতে লাগলো।মহিলা দেখে ছেলেরা ওত বকাবকি করছিলো না।কিনতু মহিলার একটুও লজ্জা নাই।কি করবেন কি করবেন আপনি বলে যে লোকটার সাথে ঝগড়া করছিলো তাকে বলতে লাগলো।আমি অনেকখন চুপ করে আর পারলামনা। বললাম আপনার মত বেয়াদব মহিলাকে ঘার ধরে লিফট থেকে নামি্যে দেয়া উচিৎ। আপনারা লিফটে উঠার যোগ্যাতা রাখেননা।কোনো মেয়ে কথা বলছিলোনা।মহিলা দেখে কেউ বেশী বকতেও পারছিলো না। আমি বকা দেয়ায় অনেকে আমাকে থ্যংক দিলো আর মহিলাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো ডিসিপ্লিন সবার জন্যই সমান।