আমি যখন দেখি মেয়েরা নিজেরা স্ট্রাগল করে পড়ে, চাকুরি করে, ব্যবসা করে, বাপ মা কে দেখে, একটা ফ্যামিলি আর সোশ্যাল লাইফ লিড করে। আমার খুব গর্ব হয়। আমাদের মেয়েরা প্রধান মন্ত্রি হয়, মন্ত্রি হয়, বড় বড় পোস্টে যায়, গ্রামের মেয়েরাও কেও বসে নাই। ইভেন একটা ফোন নিয়ে হলেও রিচার্জ করতেছে, অল্প হোক টাকা কামানোর জন্য কিছু করতেছে। নারীর ক্ষমতায়নে আমরা আলহামদুলিল্লাহ ভালোই এগিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু পশ্চিমের সাথে আমাদের তুলনাটা আমার পছন্দ না। আমাদের কিছুই তো পশ্চিমের মত না। আমাদের মেয়েরা তো আমাদের কালচার এ বড় হইছে, তাদের শালীনতা, মমতা, জীবন বোধ, কষ্ট সুখ কিছুই তো পশ্চিমের মত না। ট্রু, আমরা সব ক্ষেত্রে সফল হইতে পারিনাই। রুট লেভেলে এখনো শোষন- শাসন এর ঘটনা চলছে! আমার আম্মা, আমার বোন, আমার কন্যা নিজের মত কাজ করবে, নিজের মত সংসার করবে, নিজের স্বাধীনতায় পর্দা করবে যার যার শালীনতা বোধ অনুযায়ী।
আমার এক বন্ধুর আম্মা, এক সরকারী ব্যাংকের টপ ম্যানেজারিয়াল পোস্টে আছেন। উনি পুরাপুরি পর্দা করে কাজ করেন। শুধু ওনার কাজের দক্ষতার উপরে কিছুদিন পর পর উনার প্রমোশন হয়। কেও ওনাকে "মহিলা মানুষ" বলে দুর্বল ভাবতে দুইবার ঢোক গিলবে! অথচ অসম্ভব প্লিজেন্ট পার্সোনালিটি। উনি হচ্ছে আমার চোখে বাংলাদেশের নারী। এত ব্যাস্ততার মাঝে, উনার দরকার নাই কিন্তু, তাও এক বার দুইবার ফোন করে জিজ্ঞেস করবেন মাসে " বাবা, ভালো আছিস? তুই তো ফোন করবিনা জানি। তাই আমিই ফোন দিলাম!"
এই হচ্ছে আমাদের মা। আমাদের নারী। তারা প্রফেশনের পিছনে দৌড়ে পশ্চিমের মত পাথর হয়ে যাননি।
আমার দেশের প্রাইম মিনিস্টার - বিরোধী দলী নেত্রি- স্পীকার তিনজনই নারী। আমাদের বাইরে থেকে পশ্চিমা নারী স্বাধীনতা আমদানী করা লাগেনা। আমরা চাইলে বরং কিছু রপ্তানী করতে পারি। আমাদের ঘরে ঘরে আয়রন লেডি আছে। পশ্চিম চাইলে আমাদের সংজ্ঞা নিয়ে যেতে পারে! মোস্ট ওয়েলকাম।
জয় হোক আমার মায়েদের!
জয় হোক আমার মেয়েদের!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৪