১৯৮১ সালের শেষ সপ্তাহের ঘটনাবলি - প্রেসিডেন্ট
হত্যাকান্ড, মেজর জেনারেল মঞ্জুর ও
কর্নেল মাহবুব বীর বিক্রম হত্যাকান্ড
তারপর ১৩জন মুক্তিযোদ্ধাসেনা অফিসারকে ফাসি দেয়া, ৬০ জনকে
চাকুরি থেকে বহিষ্কার করা হল। সবচেয়ে
যে বিষয়টা খুব অমানবিক ছিল তা হল মেজর
জেননারেল এম, এ মঞ্জুর ও তার ভাগিনা
বীর বিক্রম মাহবুবকে হত্যা করে লাশ
গোপনে কবর দেয়া যদিও বিষয়টা
আমাদের সবার কাছে রহস্যময়। তার উত্তর
আজ ৩৫ বছরে দারপ্রান্তে এসেও আমরা
সাধারন জনগন জানতে পারলাম না।
আমার প্রশ্ন হল সবার নিকট :
১. এইসব হত্যাকান্ড হওয়ার পর কে সবচেয়ে
বেশি লাভবান হয়েছিলেন?
২. প্রেসিডেন্টকে নিরাপাত্তা দেওয়ার
কথা ছিল সেনাবাহিনী তাহলে সেইদিন
তা করা হয়নি, কিন্তু সেনাপ্রধান বারবার
তা অস্বীকার করে গেল কেন?
৩. প্রেসিডেন্ট নিহতের ঘটনা কে কেন্দ্র
করে সব মুক্তিযোদ্ধা অফিসার নিহত এবং
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, কিন্তু কেন?
৪. কেন অভিযুক্তদের আত্নপক্ষ সমর্থ নের
সুযোগ দেয়া হলনা এবং তড়িঘড়ি করে
ফাসি দেয়া হল?
৫. এমন কোন আইন নেই বা শুনেনি কোথাও
একজন অসুস্ত মানুষ কে ফাসি দিতে কিন্তু
তা করা হয়েছিল কেন?
৬. মেজর জেনারেল এম এ
মঞ্জুরকে অজানা কবরে শায়িত করা হল,
তার পরিবার পরিজনদের কে লাশ দেখতে
দেয়া হলনা কিন্তু কেন?
৭.আজ কোন সামরিক সরকার নেই দেশে
কেন আজ ৩৫ বছরেও উনার কবর সনাক্তকরণ
হয়নি?
এই ঘটনাটা একটা দীর্ঘ মেয়াদি
পরিকল্পনা যা ১৯৮১ সালে সেপ্টেম্বর
মাসে সমাপ্তি ঘটে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৬ সকাল ৯:০৯