ডুইসবুর্গের এই মসজিদে একসাথে নামাজ
পড়তে পারবেন ১২০০ মুসল্লী।
আর শুধু পুরুষ নয় এই মসজিদে নামাজ আদায়
করতে পারবেন নারীরাও।
মসজিদটির আযান দেবার মিনারের উচ্চতা
৩৪ মিটার। আর ভেতরে নানান কারুকার্য
দিয়ে লেখা রয়েছে আল্লাহর নাম ও
পবিত্র কোরআনের
বিভিন্ন বাণী। আর এই কারুকার্যে ব্যবহার
করা হয়েছে স্বর্ণসহ
বিভিন্ন দামী উপাদান। এছাড়া রয়েছে
ঝাড়বাতি আর কারুকার্যগুলোকে
ফুটিয়ে তুলতে বিশেষ আলোকসজ্জা।
সম্পূর্ণ মসজিদটি তৈরিতে সময়
লেগেছে তিন বছরের মতো। খরচ হয়েছে
৭৫ লাখে ইউরো। নামাজ
আদায়ের স্থানের পাশাপাশি
মসজিদটিতে রয়েছে তথ্য কেন্দ্র, হলরুম,
আবাসন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যবস্থা।
নয়নাভিরাম এই মসজিদ দেখে কি অনুভুতি
জাগছে মনে? তুর্কী তরুণ
সেলিম বলেন, এটা আমার জীবনের
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। শুধু
জার্মানি নয় এটা ইউরোপেরও অন্যতম বৃহৎ
একটি মসজিদ। ২০০১
সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী
হামলার পর থেকে অধিকাংশ
ইউরোপীয় মনে করে আমরা খারাপ। এই
মসজিদ তাদেরকে ধারণা দেবে যে
মুসলমানরা খারাপ নয়। যা আমাদের জন্য খুবই
ভালো।
ইসলামী বিশেষজ্ঞদের প্রত্যাশা, নতুন এই
মসজিদ ইসলাম ধর্ম
সম্পর্কে জার্মানদের সঠিক জ্ঞানদানে
সহায়তা করবে। একইসাথে
তুর্কীদের সাথে জার্মানদের
বিভাজনের রেখা অনেকটাই কমিয়ে
আনতে
পারে এই মসজিদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯