আশরাফুল টাকার জন্য ম্যাচ ফিক্সিং করেনি । সে নিজের ক্যারিয়ার বাঁচানোর জন্য বাধ্য হয়ে ম্যাচ ফিক্সিং করেছে । আশরাফুল সেদিন ম্যাচ ফিক্সিং না করলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর'স এর ম্যানেজার তাকে দল থেকে বাদ দিতো । তখন আশরাফুলের ফর্মও খারাপ ছিলো আর এই সুজুগ টাই নিলো ডিজি টিমের ম্যানেজার । আশরাফুলকে ফিক্সিং করাতে বাধ্য করলো ওরা । কিন্তু এখন পর্যন্ত ওদের বিরুদ্দে কোন বেববস্থা নেয়া হয়নি । যে ছেলে ১০ কোটি টাকার মতো অফার পাওয়ার পরও আইসিএলে যায়নি সে ছেলে কখনো মাত্র ১০ লাখ টাকার জন্য ফিক্সিং করতে পারেনা । এটা আমার জীবন থাকতে বিশ্বাস করবনা ।***
আশরাফুল পরিস্থিতির স্বীকার। কার্ডিফের সেই ১০০ রানের ইনিংস খেলে সে সময়ের পরম প্রতাপশালী অষ্ট্রেলিয়াকে হারানো, ভারতের বিরুদ্ধে সেই ১৫৮ রানের ইনিংস খেলা, ইংল্যান্ডের সাথে সেই ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস খেলা আশরাফুলকে স্মরণ করে আমি এই জাতির একজন হিসাবে আমার দরবারে আশরাফুলকে মাফ করে দিলাম। স্মরণ করলাম সেই সময়ের কথা যখন বাংলাদেশ খেলতে নামলে হারাটা ছিল নিশ্চিত, কোন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের বোলারদের তুলাধুনা করবে বা বিশ্বমানের কোন ইনিংস খেলবে সেটা ভাবা ছিল অসম্ভব, সেই সময়ে আমাদের বিশ্বাস ছিল একজন আমাদের আছে যে চাইলে স্রোতের বিরুদ্ধে যেয়ে অনেক কিছুই করতে পারে। একসময় বাংলাদেশ বিশ্বকাপও জিতবে, কিন্তু আমরা সেই পুরাতন দর্শকরা যারা ক্রমাগত হারের মধ্যেও বাংলাদেশের খেলা দেখতাম, জানতাম আমাদের দল হারবে, তবুও খেলা দেখতাম, সেই আমাদের সেই কন্টাকীর্ণ এবড়ো থেবড়ো সময়গুলোতে একজন কিছু জীবনিরস দিয়ে আমাদের মূমুর্ষ মনটাকে চাঙ্গা করতো। সেই একজন হল এই আশরাফুল। বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। আমাদের সেই বিপদের সময়ে, কঠিন সময়ে, নিশ্চিত পরাজয়ের সেই পাথুরে সময়টাতে একজন কিছুটা অমৃত পান করিয়েছিল। সেই অমৃতের খাতিরে আমি সেই আশরাফুলের সব অপরাধ মাফ করে দিলাম।
*** এই প্যারাটি ফেসবুক থেকে নেয়া।