সেযুগের পৌরাণিক কাহিনীর ব্রহ্মাস্ত্র ‘চক্র-ত্রিশূল’
এযুগে এসে ‘হাইড্রোজেন পারমানবিক বোমা’ -এর
নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়ায় সংখ্যাতত্ত্বের বর্গের অনুপাতে
মৌমাছির মধুর চাকে সামুদ্রিক ক্ষুদ্র প্রাণী স্পঞ্জের
শরীরের মতো খোপখোপভাবে সাজিয়ে
জনাকীর্ণ গাছপালার সমাহার থেকে
প্রাণিকূলের জীবিকাস্থল অবধি বিস্তৃত।
জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে মানব শিশুর হৃদপিণ্ডের প্রতিটি ধমনী
চারপাশের পরিবেশের বিষাক্ত অ্যামোনিয়া গ্যাসে দূষিত
পশ্চাদগামী যুক্তিহীন ভাববাদের আদর্শে-আনুগত্যে।
প্রকৃতি পরিবেশের অনাদিকালের বিবর্তনধারায়
কোন জায়গার পাহাড় সমতল ভূমিতে রূপান্তরিত
জ্ঞানবিজ্ঞান ও বাস্তববাদ ও যুক্তিবাদের অমলিন স্পর্শে।
আবার কোথাকার সমতল অঞ্চলে ধুলাবালি,
দোআঁশ মিশ্রিত বালু মাটির জমানো চরের ’পরে চরে
ব্যপ্ত হয়ে উঁচু ঢিবির মতো বিভেদের পামির প্রাচীর নির্মিত!
উঁচু-নিচু ভেদে কোথাও প্রবাহিত হিংসার ঝর্ণাধারা,
অন্য কোথাও অহিংসার লালিত বাণী স্ফুরিত হিংসার অবগানে
অন্ধতা-ক্রোধে’র গহীন জঙ্গলে বৈষ্যমের ডানা মেলে।
সবকিছুর শেকড় মাটি থেকে শাল বৃক্ষ হয়ে ডালপালা ছড়িয়ে
আদিম কল্পনালোকের বেড়াজালে আচ্ছাদিত।
বহিঃর্জগতের শান্তি কিংবা অহিংসা’র মোড়ক খামে লুকায়িত কাগজে
পাশবিকতা-অন্ধতা-উগ্র মৌলবাদ-হানাহানির রক্তময়তা
সুস্পষ্টভাবে খচিত ও স্পষ্টাক্ষরে লিখিত।
মূল উৎস সেইসব কাগজের পাতায় লেখা
যুক্তিবিবর্জিত প্রতিহিংসার মর্মবাণী,
একজনের থেকে অন্যজনের শ্রেষ্টত্ব অক্ষুন্ন রাখার অপপ্রচেষ্টায়,
যেখানে লুন্ঠিত মানবতা-নৈতিকতার অমর দর্শনের জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রদর্শিত মুক্ত ভাবনার স্বাধীন পথ, অবরুদ্ধ মুক্তভাবে অকপটে বলার অপার স্বাধীনতা।