মা, মা, ওমা তুমি জানো, ওরা নাকি পেশিশক্তির বলে
বুকে একে-৪৭ রাইফেল ঠেকিয়ে
আমাদের সবকিছু একেএকে দখল করতে চায়!
মাগো, শুনছো ঐ নরপশুরা আমায় কুপ্রস্তাব দেয়,
ঐ হিংস্র জানোয়াররা সবাই মিলে আমায়
অবিরাম বলাৎকার করবে, যদি আমি বাধা হয়ে দাঁড়াই ওদের দেশদ্রোহী কাজে।
জননী’গো, ওরা দেশের প্রভু, গণতন্ত্রের লেবাসধারী পূজারী,
যা ইচ্ছে তাই বলতে পারে করতে পারে অস্ত্রের বলে,
রাষ্ট্রকে ওরা প্রথাগত ধর্ম বানাতে পারে সংবিধানকে ধর্মগ্রন্থ
বানিয়ে লোক দেখানো অর্চনাও করতে পারে!
হাস্যকর ব্যাপার কি মা জানো,
ওদের কেউ কেউ না স্বদেশকে ভালোবাসার স্বীকৃতি স্বরূপ
সাধারণ জনগণের হালাল হাড্ডির তৈরী ভবনে বসে
সংবিধানকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার অভিপ্রায় দেখিয়ে মহোত্তম দেশপ্রেমের কথা বলে!
দেখলে তো মা, তোমাকে ওরা কত্ত ভালোবাসে; যা আমিও পারি না!
হে জন্মদায়িনি মা, আমার চোখের সামনে তোমাকেও ওদের সন্ত্রাসী লিডার.....???
মাগো, রক্তের স্রোতস্বিনী নদী বয়েও
কি রক্ষা করতে পারবো না তোমার সম্ভ্রম-সম্মান-অধিকার;
তোমার পরিশ্রমে তিলে তিলে গড়া সম্পদ?
মমতাময়ী মাগো, ওদের সবাই স্বার্থ পূরণে
নির্বাচনের প্রাক্কালে আমাদের পা ধরতেও
সঙ্কোচবোধ করে না!
আর আমাদেরকে নিঃস্ব করে
তোমার সম্ভ্রম সস্তায় বিক্রি করে হলেও
নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে সদা প্রস্তুত।
প্রাণের বঙ্গজননী,
শুনে রেখো তোমার অখ্যাত সন্তান বলছি-
“যতক্ষণ প্রাণ থাকে দেহে তোমার এক বিন্দু মাটিও
দেশীয়-ভিনদেশীয় চক্রান্তের প্রবল তোপে পড়ে
ঐ হায়নাদের হাতে তুলে দিবো না, না, না, না”।