কাঠবাদাম বা Almond বৈজ্ঞানিক নাম Prunus dulcis আমাদের দেশে সাধারনত সেমাই, ক্ষীর বা পায়েসের সাথে খাওয়া হয়। উচ্চমূল্য এবং সহজলোভ্য না হওয়ার কারনে এটি বাংলাদেশে খুব বেশী জনপ্রিয় নয়।
দেখতে ঠিক জলপাই ফলের মতো। কিন্তু চামড়ার ভেতরের অংশটুকু সত্যিই যেন কাঠ। খুব শক্ত। সেই শক্ত অংশের ভেতরে আছে নরম একপ্রকার শাঁস, যা খেতে বাদামের মতো স্বাদ। এই ফলের নাম হলো কাঠবাদাম। এই বাদামটি সাধারণত উৎপাদিত হয় ইরান, সৌদি আরব, জর্ডান, ইসরায়েল, লেবানন, সিরিয়া এবং তুর্কিতে। আমাদের দেশেও জন্মে। তবে তা খুবই কম। খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে মানুষ এই ফলকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। তখন এর ধর্মীয় মূল্যও ছিল। এর প্রমাণ পাওয়া যায় মিসরের কিশোর রাজা তুতেন খামেনের মমি দেখে। ওই মমিতে পাওয়া গেছে কিছু কাঠবাদাম।
আলমন্ড বা কাঠবাদাম আঁশ (dietary fiber), ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ এবং ফাইটো-ক্যামিক্যালসে ভরপুর। বিভিন্ন রোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে এটি একটি আদর্শ খাদ্য। প্রাচীনকালে আলমন্ডকে প্রাচুর্য্য এবং সুস্বাস্থ্যের প্রতীক বলে মনে করা হতো।
কাঠবাদাম উৎসবের খাবারে একটি পরিচিত নাম। আমরা কাঠবাদামকে ক্ষীর, পায়েস, সেমাইয়ের সঙ্গেই দেখতে অভ্যস্ত। আমরা অনেকেই জানি না যে কাঠবাদাম খালি মুখেও খাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। যেকোনো বড় অস্ত্রোপচারের পর বা দেহের কোনো হাড় ভেঙে গেলে, কাঠবাদাম খেলে হাড় পুষ্টি পাবে দ্রুত। লম্বা আকারের বাদাম, খোসা (পাতলা আবরণ) ছাড়িয়ে খেতে হয়। কাঁচা খেতে পারলে খুব ভালো। কাঁচা হজম করতে না পারলে পানিতে ভিজিয়ে খাবেন। বাদামের ওপর পাতলা বাদামি বা খয়েরি রঙের আবরণ থাকে। পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই খোসাটা উঠে যায়। চিবিয়ে বা খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে সেদ্ধ করে খাওয়া যায়।
গর্ভবতী মহিলা, বাড়ন্ত শিশু ও মেনোপোজ (চিরতরে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়ে গেছে—এমন নারীদের জন্যও কাঠবাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আবার বয়স্ক নারী ও পুরুষের জন্যও এই বাদাম ভীষণ জরুরি। কারণ, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষ করে আমাদের দেশে ৪০ বছরের পর বেশির ভাগ মানুষের অসটিও পোরোসিস হয়, এই অসুখে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, যা পুরো শরীরের ওপর ফেলে ক্ষতিকর প্রভাব। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন দেহের ওজন কমানো, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও নিয়মিত ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
মেনোপোজ হয়ে যাওয়া নারীদের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁদের দেহে জরুরি অনেক হরমোন তৈরি হয় না (হরমোন শরীরের জন্য উপকারী উপাদান)—এমন অবস্থায়ও কাঠবাদাম হতে পারে আপনার বন্ধু। প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিনটা খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের জন্য জরুরি অনেক উপকরণ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বকে জোগায় পুষ্টি, সাহায্য করে বার্ধক্যকে দূরে ঠেলতে। ত্বকের অসুখগুলোকে দূরে রাখে।
দাঁত, হাড়, নখ, চুলকে উজ্জ্বল ও সুন্দর করতে এই বাদামের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তবে সবাই হজম করতে পারে না। অবশ্যই নিজের হজমক্ষমতা বুঝে বাদাম খান।
কাঠবাদামের নির্যাসিত তেল ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং জলীয় ভাব (moisture) ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একমুঠো কাঠবাদাম কিংবা কাঠবাদাম সমৃদ্ধ খাদ্য আপনাকে অনেক রোগ এবং ঔষধ থেকে দূরে রাখতে পারে এবং দৈনিক চাহিদার প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন এবং প্রোটিনের জোগান দিতে পারে। কাঠবাদাম এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষন করতে হবে। কাঠবাদাম বা আলমন্ড কাঁচা, ভাজা বা লবন দিয়েও খেতে পারেন। চীনা বাদামের মতো, আলমন্ডেও অনেকের এলার্জী থাকতে পারে, বাদামে এলার্জী থাকলে না খাওয়াই উত্তম। তথ্য সংগ্রহ-ইন্টারনেট
আমার আগের পোস্ট গুলো।।
আজব গজব অদ্ভুত এবং অসাধারন কিছু স্থাপত্যকর্ম !!! (ছবি ব্লগ Part-1)
বেলুনের অদ্ভুত কিছু শিল্পকর্ম !!! (ছবি ব্লগ)
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মধু
ব্রণ ব্রণ ব্রণ !!!!
গাজরের গল্প ।।।।
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ ।।।
ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার ।।।
বাড়তি ওজনের এক খেসারত !!!
ক্যানসার প্রতিরোধ সহজেই !!!
অতি সহজ উপায়ে স্ট্রোক সনাক্ত করার উপায়!!!!!!!!
প্রতিরোধেই মিলবে স্ট্রোকের প্রতিকার