নেতৃত্ব নিয়ে অতীত থেকেই আলোচনা - সমালোচনা করে গেছেন প্রায় সব বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা। সঠিক নেতৃত্বের প্রভাবে একটি পরিবার, প্রতিষ্ঠান, দেশ – এমনকি বিশ্বও বদলে যেতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাস আসলে নেতৃত্বের ইতিহাস। একজন যোগ্য নেতা ও তাঁর নেতৃত্বের হাত ধরে একটি নতুন সভ্যতার জন্ম হতে পারে, শুরু হতে পারে নতুন যুগ।
একজন মানুষের মাঝে যদি সঠিক নেতৃত্বের গুণাবলী থাকে – তবে একদল অযোগ্য লোককেও তিনি অনেক বড় অর্জনের দিকে নিয়ে যেতে পারেন। নেতৃত্বের বানী দুর্বলের বুকে সাহস যোগায়, অবিশ্বাসীর মনে বিশ্বাসের জন্ম দেয়। মানুষ একা কিছু করতে পারে না। একজন মানুষের স্বপ্ন যত বড় – তার দলও তত বড় হতে হয়। একজন সত্যিকার নেতা তাঁর নিজের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পারেন বহু মানুষের মাঝে। নেতাকে অনুসরন করে তারা নিজের শ্রম, ঘাম – এমনকি রক্ত দিতেও দ্বিধা করে না।
আপনি জীবনের যে ক্ষেত্রেই বড় হতে চান না কেন – নেতৃত্বের গুণাবলী আপনার মাঝে থাকা আবশ্যক। বিখ্যাত নেতা, লেখক, উদ্যোক্তা, দার্শনিক ও গুণীজনরা যুগে যুগে যেসব নেতৃত্বের বানী দিয়ে গেছেন – তার মাঝে লুকিয়ে আছে নেতার গুণাবলী অর্জন করার অনেক পরামর্শ
আর আমরা এখনকার পোলাপানদের হাতে তুলে দিয়েছি ক্ষমতার নেতৃত্ব , যাদের যোগ্যতা গরু রাখার, অথচ শুধু স্বজনপ্রীতি, ভাই-প্রীতি আর তৈলপ্রিয় হয়েই বসে পরে নেতৃত্বের চেয়ারে, যাদের এখন মাঠে গরু- ভেড়া চরে বেরানোর কথা তারাই রাজনৈতিক মাঠে মানুষ চরে বেড়াচ্ছে, তাই সমাজে আজ শিক্ষিত মানুষ গুলো হচ্ছে লাঞ্চিত, সমাজের অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে হাতে বাঁশি থাকার কথা সে হাতে এখন ক্ষমতার লাঠি, আমি মনে করি অযোগ্য ও অপবিত্র মানুষ গুলোকে যোগ্য ও পবিত্র স্থানে বসানো "( রাখালের হাতে গিটার) " দেওয়া।
যেকোন কাজে নেতৃত্ব দেওয়া সঠিক মানুষটি নির্বাচন করাই অর্ধেক কাজ সম্পুর্ন হওয়ার সমান।
-Thunder Jon (নিজস্ব ভাবনা)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪