চোখ ভেসে যায়
ছোটন আজ একটা সিদ্ধান্ত নিয়েই বাসা থেকে বেরিয়েছে। কোন বন্ধুর সাথে আজ আড্ডা মারতে যাবে না সে। যে করেই হোক বাবাকে দেয়া কথা সে রাখবেই আজ। কয়দিন ধরে ছোটনের বাবা ছোটনকে বলছে ওর ছোট ফুফুর বাসায় একবার যেতে। ছোটনের ছোট ফুফু মঞ্জুআরা একা থাকে শ্যামলীর বাসায়। ছেলেমেয়ে দু’জনই বিদেশে। ছোটনের ফুফা মারা যাবার পর থেকে একেবারেই একা হয়ে গেছে মঞ্জুআরা। বাসায় সঙ্গী কেবল একটা মধ্যবয়স্ক কাজের মহিলা। ঢাকায় নিকটাত্মীয় বলতে ছোটনরাই। তাই ছোটনের বাবা সব সময় চান ছোট বোনটির খোঁজ-খবর রাখতে। ছোটনের বড় ভাই লিটন ঢাকার বাইরে চাকুরি করে। ছোটন পড়াশুনা শেষ করে চাকুরির ধান্ধায় মোটামুটি অবসর সময় কাটাচ্ছে। তাই মোরশেদ সাহেব চান ছোটন গিয়ে মাঝেমধ্যে ওর ছোট ফুফুর খোঁজ-খবর করুক। তিনি নিজে যদিও রিটায়ার্ড করার পর অবসর সময় কাটাচ্ছেন ঘরে বসে। কিন্তু সায়েদাবাদ থেকে বাসে করে শ্যামলী আসা-যাওয়া করা আজকাল শরীরে ঠিক পোষায় না। তাই ছোটনের উপর ভরসা করে থাকেন তিনি। ছোটন মাঝে মধে ছোট ফুফুর বাসায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিলে, প্রয়োজনে এটা-সেটা টুকটাক কাজ করে দিয়ে আসলে খুব খুশী হন মোরশেদ সাহেব।
ছোটন তাই আজ ঠিক করেছে বাবাকে সে খুশী করবেই। তাই বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা হাঁটতে থাকে বাসের উদ্দেশ্যে। বের হবার আগে মোবাইটা সুইস অফ করে নেয় ছোটন, যাতে বন্ধুরা কেউ ফোনে ওকে ডাকতে না পারে। পর পর দুটো বাসে উঠতে না পেরে এক রকম মরিয়া হয়েই তৃতীয় বাসটায় উঠে পড়ে ছোটন। দরজার কাছ থেকে কোনমতে ঠেলেঠুলে একটু সামনে এগোতে চেষ্টা করে সে। এমন সময় মহিলার গলা শুনা যায়। ’বাবা রে একটু দেখে আগাও।’
ছোটন সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে। সামনে দাঁড়ানো একজনের কাঁধের উপর দিয়ে গলাটা বাড়িয়ে দিয়ে দেখতে চেষ্টা করে মহিলাকে। কিন্তু মহিলা রড ধরে ড্রাইভারের দিকে মুখ করে এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যে মুখ দেখার কোন উপায় নেই। ছোটনের কানে মহিলার কথাটা আবারও বাজে। খুব পরিচিত মনে হয় ছোটনের নিকট গলাটা। কোথায় যেন শুনেছে ! কিন্তু মনে করতে পারছে না। এমন সময় বাস এসে থেমে যায় এক জায়গায়। সামনের সীট থেকে একজন লোক নেমে যায়। ছোটন সাথে সাথে মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বলে, আপনি এই সীটটাতে বসুন। মহিলা চুপচাপ বসে পড়ে খালি সীটটাতে। এবার ছোটনের সুযোগ হয় মহিলার মুখটি দেখার। কিন্তু তবু মনে করতে পারে না ছোটন কোথায় দেখেছে এই মহিলাকে। অথচ খুব পরিচিত মনে হচ্ছে মহিলার গলাটা। ছোটন দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে। এমন সময় মহিলার কথায় ছোটনের ভাবনার রেশ কেটে যায়। মহিলার কন্ঠে বিরক্তি প্রকাশ করে বলে
ঢাকা শহরে বাসে উঠলেই এই বিড়ম্বনা। থামছে তো থামছে। আর চলনের নাম নাই।
ছোটন তাকিয়ে দেখে বা কোন স্ট্যান্ডে নয়, জ্যামে আটকে আছে। ঘড়ি দেখে ছোটন। এক ঘন্টার বেশি পার হয়ে গেছে। অথচ ওরা এখনও মতিঝিল ছাড়তে পারেনি। বিরক্ত লাগে ছোটনেরও। কিন্তু সেদিকে ওর মনযোগ নেই। মহিলার এই কথাটা শুনে সে এবার পুরোপুরি নিশ্চিত হয় যে, সে এই মহিলাকে চিনে। আগে কোথাও দেখেছে কিংবা দেখা হয়েছে এই মহিলার সাথে।
এমন সময় বাস আবার চলতে শুরু করলে মহিলা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলে, যাক্। বাঁচা গেল। এখন ঠিকমত শ্যামলী পর্যন্ত গেলেই হয়।
এবার চমকে উঠে ছোটন। সাথে সাথে প্রশ্ন করে, আপনি শ্যামলী যাবেন বুঝি ?
হ্যাঁ বাবা। কিন্তু বাস যদি এমন থেমে থেমে চলে তাহলে কতক্ষণে শ্যামলী পৌঁছাবে কে জানে ? আমার যে খুব তাড়া আছে বাবা।
মহিলার কথা শেষ হতেই ছোটন আর একটা প্রশ্ন করে ফেলে। আপনি কোত্থেকে উঠেছেন বাসে ? যাত্রাবাড়ি থেকে ? সাথে সাথে সচকিত হয় ছোটন। যাত্রাবাড়ি-সায়েদাবাদ পাশাপাশি এলাকা। বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এই এলাকাতেই ও আড্ডা দেয়, ঘুরাঘুরি করে। কাজেই মহিলাকে আগে সে কোথাও দেখেছে এটা নিশ্চিত। এখন কেবল মনে করতে পারলেই হলো ঠিক কোথায় সে দেখেছে এই মহিলাকে। মহিলার সাথে দু’চারটা কথা বলতে পারলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে। কিন্তু কিভাবে বলবে কথা ? ভাবতে থাকে ছোটন। এমন সময় তার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে। বলে, চাচী তাড়া আছে যেহেতু আপনার, সকাল সকাল রওনা দিলেই পারতেন ? ঢাকা শহরে রাস্তায় যা যানজট সময়মত কোথাও পৌঁছার কি উপায় আছে ?
হ্যাঁ বাবা, তুমি ঠিকই বলেছ। আগে বুঝতে পারিনি। এখন তো আর করার কিছু নাই। অর্ধেক রাস্তা বোধহয় চলে এসেছি। পৌঁছাতে দেরি হবে এই আর কি !
চাচী, আপনি চিন্তা করবেন না। আমিও সায়েদাবাদে থাকি। শ্যামলীতে ফুফুর বাসায় যাচ্ছি। ফুফুর সাথে দেখা করেই ফিরে যাব। আপনি যদি ফিরে যেতে চান ঐ সময় বাসস্ট্যান্ডে থাকলে আমি আপনাকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারি।
দেখি কি করা যায় ? সংক্ষেপে উত্তর দিয়ে জানালা গলিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকে মহিলা। ছোটনও সেদিকে তাকায়। এতক্ষণে দু’জনের খেয়াল হয় বাস শ্যামলীর কাছাকাছি চলে এসেছে। এর কিছুক্ষণ পরই বাস এসে শ্যামলীতে দাঁড়ায়। ছোটন মহিলাকে আগে নামার পথ করে দিয়ে পরে নিজে নেমে ফুটপাতে উঠে দাঁড়ায়। মহিলা এদিক-ওদিক একবার দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করে
বাবা, তোমার হাতে ঘড়ি আছে ? এখন কয়টা বাজে দেখতো।
ছোটন বলে, ঘড়ি নেই চাচী। তবে সময় বলতে পারব। মোবাইল আছে না ?
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে চোখের সামনে ধরে ছোটন। মোবাইলটা সুইস অফ ছিল এতক্ষণ সেকথা ওর মনেই পড়েনি। অন করতেই বেজে উঠে সেটা। ওপাশ থেকে বন্ধু কাশেম কথা বলছে।
ছোটন তুই কোথায় ? কখন থেকে তোকে ধরার চেষ্টা করছি। মোবাইল বন্ধ করে রেখেছিস কেন ?
ছোটন ওর বন্ধুর অত প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে শুধু বলে, সব কথা পরে বলব। এখন বল খুঁজছিস কেন ?
কাশেম বলে, তোকে খুব দরকার ছোটন। তাড়াতাড়ি আয়। আমার বাড়ির আয়াটা পালিয়েছে।
আমি তো শ্যামলীতে ছোট ফুফুর বাসায় যাব বলে এসেছি। তুই বললেই কি তাড়াতাড়ি ফিরতে পারব ? মাত্র তো বাস থেকে নামলাম। তুই এক কাজ কর, পুলিশে ডায়েরি কর। আমি আসি, পরে দেখি খুঁজে বের করা যায় কি না।
কাশেম সাথে সাথে জবাব দেয়, পুলিশে ডায়েরি করা যাবে না। অন্যভাবে খুঁজে বের করতে হবে। তুই তাড়াতাড়ি আয়। তোকে সব খুলে বলব। বলেই লাইনটা কেটে দেয় কাশেম।
ছোটন মোবাইলটা পকেটে রেখে পাশে তাকিয়ে দেখে মহিলা সেখানে নেই। তাড়াতাড়ি দৃষ্টি ঘুরায় ছোটন। দেখে সামনের ফুটপাত ধরে মহিলা হনহন করে হেঁটে যাচ্ছে। ছোটন দৌড়ে গিয়ে মহিলার পাশ ধরে হাঁটতে হাঁটতে বলে, চাচী, আপনি না আমার কাছে সময় জানতে চাইলেন ? না জেনেই চলে যাচ্ছেন যে ?
মহিলা জবাব দেয়, দেখলাম বাবা তুমি খুব ব্যস্ত। কার সাথে যেন কথা বলছ। তাই চলে যাচ্ছিলাম। আমার খুব তাড়া আছে।
আচ্ছা চাচী, একটা কথা জিজ্ঞেস করব ? আমি তো আপনার ছেলের মতো। আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিবেন ?
মহিলা এবার হাঁটা থামিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারপর ছোটনের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে, বলো বাবা কি জানতে চাও ? তোমার প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব কি না জানিনা।
চাচী, আমি আপনার এলাকার ছেলে বলতে পারেন। একই বাসে দু’জনে এসেছি। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে আপনার কিসের এত তাড়া ? এখানে কোথায় যাবেন আপনি ?
মহিলা এবার কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে, আমার কিসের তাড়া সে আমি তোমাকে বুঝাতে পারব না বাবা। সত্যি কথা কি শ্যামলীতে আমার কেউ থাকে না।
তাহলে আপনি কোথায় যাবেন এখানে ?
বাবা আমি এখানে কোথাও যাব না। আমি এখান থেকে বাসে উঠে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঢাকা শহরের বাইরে চলে যেতে চাই।
এখন তো সন্ধ্যা হয়ে গেছে। রাতের বেলা আপনি একা একা ঢাকা শহরের বাইরে কোথায় যাবেন ?
আমার গ্রামে যাব। বাবা, তুমি আমাকে একটু সাহায্য করতে পার ? আমাকে একটা বাসের টিকেট কিনে দিতে পার ? আমার কাছে টাকা আছে।
মহিলার কথায় সতর্ক হয় ছোটন। একটু আগেই কাশেম ফোন করে জানিয়েছে ওর বাড়ির কাজের বুয়া পালিয়ে গেছে। এই মহিলা যাত্রাবাড়ি থেকে বাসে উঠেছে। তাহলে কি -----------?
ছোটন তাড়াতাড়ি বলে, ঠিক আছে। আমি আপনাকে একটা টিকেট কেটে দিব। কিন্তু -----
কথা শেষ না করে পাশ ফিরে তাকায় ছোটন মহিলার দিকে। কিন্তু মহিলা নেই। ততক্ষণে সামনের দিকে অনেকদূর এগিয়ে গেছে মহিলা। ছোটন আবার দৌড়ে মহিলার কাছে গিয়ে বলে, আপনি অমন করছেন কেন ? আপনি আমার মাতৃসম। আপনাকে এটুকু সাহায্য আমি করতেই পারি। কিন্তু তার আগে আমারও কিছু জানার আছে।
তুমি কি জানতে চাও আমি জানি বাবা। কিন্তু তোমার সব প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে পারব না।
তবু অন্তত এটুকু বলুন, যাত্রাবাড়িতে আপনি কোন বাড়িতে থাকেন ? আপনাকে আমার খুব পরিচিত লাগছে। তাই জিজ্ঞেস করছি।
তুমি জেনে কি করবা বাবা ? আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ঐ টাকার কারাগারে বন্দী করবা ?
না চাচী। আপনি না চাইলে আমি কিছুই করব না। আপনি শুধু দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তরটা দিন।
ছোটনের কথায় মহিলা কি যেন ভাবে। তারপর বলে, আমি যাত্রাবাড়িতে ‘কাশেম ভিলা’য় থাকতাম। ----নম্বর যাত্রাবাড়ি।
ছোটন চমকে উঠে মহিলার কথায়। বলে, তাই তো আপনাকে প্রথম থেকে আমার এত চেনা চেনা লাগছে। ‘কাশেম ভিলা’র কাশেম তো আমার বন্ধু। আপনি ওদের কাজের বুয়া তাই না ? আমাকে বেশ কয়েকবার চা-নাস্তা খাইয়েছেন আপনি। বাসায় সব সময় ঘোমটা দিয়ে থাকেন তো তাই মুখ দেখে চিনতে পারিনি। তবে আগে আপনার কথা শুনেছিলাম বলে আজ বাসে আপনার গলা শুনে আমার ঠিকই মনে হয়েছে যে আমি আপনাকে কোন না কোনভাবে চিনি। নিন, চলুন এবার আমার সাথে।
কোথায় যাব আমি তোমার সাথে ?
কেন ? কাশেমের বাড়িতে ? ওরা আপনাকে খুঁজছে। কাশেম আমাকে ফোন করে আপনার পালানোর কথা বলেছে।
না বাবা, বিশ্বাস করো আমি পালাতে চাইনি। আমি কেবল নিস্কৃতি চাইছি আমার মানসিক যাতনার কারাগার থেকে।
নিস্কৃতি চাইছেন ? কেন বলুন তো ?
সে তুমি বুঝবে না বাবা। ছেলের সংসারে কাজের মানুষের পরিচয়ে থাকা একজন মায়ের জন্য যে কতবড় অপমানের সে তুমি বুঝবে না বাবা।
কি বলছেন আপনি ? আপনি ওর মা ?
হ্যাঁ বাবা। আমি তোমার বন্ধু কাশেমের মা। ছেলেকে বড় করেছি, লেখাপড়া শিখিয়েছি। বড়লোকের শিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করে এনে এখন সে নিজের অশিক্ষিত গেঁয়ো মাকে মা বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। এবার তুমিই বলো বাবা, এভাবে পালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমার আর কি কোন উপায় আছে ? আমার ছেলেটা না হয় বন্দী হয়ে গেছে তার বউ এর দাসত্বের কাছে। কিন্তু আমি তো সেটা পারছি না বাবা। তাই পালিয়ে যাচ্ছি। তুমি আমাকে সাহায্য করবে না বাবা ?
ছোটন এতক্ষণ গভীর চিন্তায় ডুবে ছিল। যে কাশেমকে সে এতদিন বন্ধু বলে জেনে এসেছে তার দ্বারা এতবড় পাপ কাজ করা কি করে সম্ভব হলো ? বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে নিজের মাকে কাজের বুয়া বলে পরিচয় দিল। কি করে পারল এটা কাশেম ?
কাশেমের মায়ের শেষ প্রশ্নে ছোটনের আত্মমগ্নতা কেটে যায়। বলে
বলুন চাচী, আমি আপনার জন্য কি করতে পারি ?
তুমি আমাকে একটা বাসের টিকেট কেটে দাও বাবা। আমি গাঁয়ে চলে যাব।
কিন্তু রাতের বেলা আমি আপনাকে একা ছাড়ি কি করে ? কাশেম আপনার ছেলে হয়ে একটা মস্তবড় পাপ করেছে। আর আমি সব জেনেশুনে এই রাতের বেলা একা আপনাকে বাসে তুলে দিলে সেটা হবে আমার অন্যায়। আমাকে একটিবার আপনার ছেলে ভেবে দেখুন, বিশ্বাস করুন। আমি আপনাকে চলে যাবার ব্যবস্থা করে দিব। তবে এই রাতের বেলা নয়।
তাহলে এই রাতে আমি কোথায় যাব বাবা ?
ভয় নেই মা। আপনাকে আমি যাত্রাবাড়ি যেতে বলব না। আপনি এখানে আমার ফুফুর বাড়িতে থাকবেন। তারপর যেদিন চলে যেতে চাইবেন আমি ব্যবস্থা করে দিব। চলুন।
কাশেমের মাকে ছোট ফুফুর বাড়িতে রেখে এসে ছোটন যখন সায়েদাবাদ যাবার জন্য বাসে উঠে তখন রাত দশটার মতো বাজে। বাসে বসে ছোটন কাশেমের কথাগুলো মনে করতে চেষ্টা করে। কাশেমকে ছোটন পুলিশে ডায়েরি করতে বলেছিল। কিন্তু কাশেম তা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। বলেছে, থানা-পুলিশ করা যাবে না। কাশেম কেন এই ব্যাপারটা নিয়ে থানা-পুলিশ করতে চাইছে না সেটা নিয়ে ছোটন তখন ভাবেনি। এখন মনে হচ্ছে এই তার কারণ।