একটা জলজ্যান্ত মানুষ মানে বিশাল মহাবিশ্বের চেয়েও বড় কোনো স্বত্ত্বা। তার এই হালকা পাতলা, মাঝারি কিংবা স্থূল দেহায়বের ভেতরে অদ্ভুত একটা জগৎ আছে। কেবল চামড়া,চুল আর পোশাক দিয়ে ঢাকা বলে আমরা দেখতে পাইনা।
কোনো মানুষের সাথে কথা বলতে গেলে প্রায়ই আমি বিস্মিত হই। প্রত্যেকেরই আছে কত ভাবনা চিন্তা,স্মৃতি,পরিকল্পনা,বিশ্বাস,আবেগ- কত ধরণের অনুভূতি,জ্ঞান, বুদ্ধি-বিবেক, অভিজ্ঞতা! কেবল নিজস্ব কিছু অবস্তুগত ধারণা নয়,প্রত্যেকের একটা আপন গণ্ডী আছে। আছে ভালবাসার মানুষ-পরিবার কিংবা বন্ধু স্বজন। আপনার কাছে সে হয়তো কেউ-ই না, উটকো একজন। কিন্তু অন্য কোথাও অবশ্যই কিছু মানুষ আছে যাদের কাছে এই ব্যক্তি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। আর কিছু না হোক, অন্তত এ কারণে হলেও প্রত্যেককে সম্মান করা উচিত, সাহায্য করা উচিত। কারন একজন মানুষকে সাহায্য
করা বা ভাল ব্যবহার করা মানে তার আড়ালের কমপক্ষে জনা দশেক মানুষকে প্রীতি জানানো।
তাই যখনই কারো দিকে তাকাই কেন যেন পেছনে ছায়ার মত আরো কতকজন মানুষ দেখি-এঁর
প্রিয়জন তারা। আবার চোখের ভেতর উঁকি দিলে দেখি- বিচিত্র জীবনের গল্প। হয়তো এই পর্যন্ত আসতে তার অনেক সংগ্রাম
করতে হয়েছে। আপনি তার কোনো ক্ষতি করলে তার এবং তার পরিবারের সমস্ত পরিশ্রম এক নিমিষে ধ্বংস হয়ে যাবে।
কখনো আচমকা কেউ দয়ালু কোনো আচরন করলে প্রথমে অবাক হই। পরে মনে পড়ে,সমুদ্রের
চেয়ে কম গভীর নয় মানুষের অন্তর। আর সামনে দাঁড়ানো মানুষটার বুদ্ধির দৌড়? সেটাও
বোঝা মুশকিল। কারন সত্যি তো, কে জানে কার ভেতরে কী লুকিয়ে আছে!
মহাবিশ্বের যে টুকু আমরা জানি তার চেয়েও কম জানি মানব হৃদয়ের.....