ফেসবুকের কল্যানে বারবার আমাকে পড়তে হয় নাস্তিকতার বানী। ব্লগেও তাই! আমি মাঝে মাঝে দিশাহীন হয়ে যাই। ছোটবেলা থেকে কনফিউজড মাইন্ডেড তো। তাই একটু আকটু খোঁচাখুঁচি করলেই আমি বিশ্বাসের পথে হাটতে থাকি।
যাই হোক নাস্তিকতা সম্পর্কিত এটা ওটা পড়ে আমি তো ব্যপক ঝুকে পড়ি মাঝে মধ্যে। ওটাই কেন যেন ডিফারেন্ট আর ডিফারেন্ট মানেই স্টাইল। মুখে বড় বড় বুলি ছাড়ি আর এটা ওটা যুক্তি দিই বন্ধুদের কাছে,কিন্তু মাথায় যেতে পারিনি। মানে নাস্তিকতার পক্ষে জিততেই পারিনি। তবুও আমি নাছোড়বান্দা! আকড়ে ধরলাম ওই পথটি! কিন্তু ডিফারেন্স সীকার এই আমি কখনো ওই পথে শান্তি পাইনি,বীলিভ মিহ!
শান্তি তো ওতেই,মা বাবা যে পথে চলতে বলে। ধর্ম একটা খুঁটি,যাকে কেন্দ্র করে বাঁচা যায়। আর নাস্তিকতা দিশাহীন,বেঁচে থাকার মানে পুরাই পানশে হয়ে যায়।
আমি হিন্দু। আমার আরাধ্য প্রতিমার সামনে আমি বসলাম একাগ্র চিত্তে। ধুপ দীপে সজ্জিত প্রতিমায় সমর্পিত করলাম সমস্ত মন। তারপর পূজা অর্চনা শেষে অন্জলী। আহা! মনটাই ভরে ওঠে অনাবিল শান্তিতে। মনে একটা আশ্রয় পাই। এইতো আমি,এতেই আমি শান্তি খুঁজে পাই। কি দরকার আমার অশান্তি খুঁজে....
হ্যা! মানলাম নাস্তিকতাই বেস্ট! কিন্তু ওতে তো শান্তি নেই। আমি তো আমার ধর্মে শান্তি পাই,তাই ছুঁড়ে ফেলেছি নাস্তিকতা...