সময়ের লিমেরিক
সুদীপ্ত সজল খাঁ
“মানুষ মানুষ সমান হবে
একই থালায় অন্ন হবে;
একই চালের ভাত ।
একই চালে খড় বিছিয়ে,
ভোর হয়ে যাবে রাত ।”
তুমি মান না ! আমিও না
কেও খাবে আর কেও খাবে না ।
কেও পাবে বা কেও পাবে না ।
এমনি করেই হতে হবে
সমাজ নামের বেশ্যাখানা ।
তোমার তাতে ভীষন সাড়া ;
বামপন্থী হতচ্ছাড়া !
বেজন্মা সব মার্কস এঙ্গেলস
সোসালিজম ফেয়ারি টেলস .
চাকর রেখে তাকে যদি
দুই তিনটা লাথি না দি ?
রিকশাওয়ালার বুক পকেটে
ঝা চকচকে নোট গুজে দে !
আমার হবে ফোর্ড লিমুজিন ;
অর্থনীতির পশ্চাতে বীণ -
না বাজালে সমাজ কিসের ?
ভোগ বিলাসেই শান্তি দেশের ।
১৬ কোটিতে ১০ লাখ মানুষ ;
বাকিগুলা সব হাড়হাভাতে।
দিনের মধ্যে একশতবার
চিক্কর মারে , ভাত খেতে দে !!!
বুঝুন তবে কোথায় থাকি ?
এদের সাথে মাখামাখি ? !
পাগল নাকি ? দামি সুট কোট ,
রাজনীতি করি, উপরের পোস্ট ।
ব্যবসা বাচাই ; হাভাতের দল -
মাথা তুললেই করছি কোতল ।
ফারাক থাকুক ওতে আমাতে ;
চিংড়ি উঠুক আমার পাতে।
ওর পাতে যাক লবণের জল -
এটা কম হল বল !!
ডানপন্থী হাত করা চাই
লুকিয়ে রাখবি চীনের দাওয়াই ;
বিদ্যাতে চাই আমাদের কথা -
আমরাই সব সমাজের মাথা ।
সমাজ একটা বেশ্যখানা
এইটা কিন্তু বড় কথা না ;
বাচতে চাইলে হঠাও বাম
কমিয়ে দাও শ্রমিকের দাম ।
উঠবে বাড়ি , চলবে গাড়ি
তোমার আমার আড়াআড়ি ;
কে মরল কে বাঁচল
আমার কেন চুল ছিড়ি ?
তোমার আমার সমাজ ভাই
ভবিষ্যতেও এমনই চাই ।
ছেলে মেয়েরা হচ্ছে বড়
তারাও শিখুক এমন তর ;
নোবেল ইউনুস এম্বেসেডর
হাতে পায়ে সালাম কর ।