অধ্যাপক জাফর ইকবালের বাসার সামনে ককটেল ফাটানো , তিনদিনের আল্টিমেটাম হেন কারেঙ্গা, তেন কারেঙ্গা, বিষয়গুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ , কালকে একজনকে দেখলাম লিখেছেন , মানুষ মরছে তাতে কারও ভ্রুক্ষেপ নাই একজন শিক্ষকের পদত্যাগ নিয়ে কেন তালমাটাল । আমার কাছে ব্যক্তিগত একটা পয়েণ্ট মনে হয়েছে ।
অধ্যাপক জাফর ইকবালকে তার নিজের কাজে, নিজের আদর্শতে জয়ী করতে পারলে যে ইতিহাস গড়ে উঠবে তাতে পরবর্তী দশ প্রজন্ম সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে । অর্থাত জয় হতে থাকবে আদর্শর । প্রোগ্রামিং এর লুপ ।
অধ্যাপক জাফর ইকবালকে গুরুত্ব না দিয়েও সাধারণ মানুষদের মৃত্যু ঠেকানো যাইত না তথাপিও জাফর ইকবালকে পরাজিত হতে দিলে কি হবে ? বা কি হতে পারে বা কি হত ?
আদর্শ মরে গিয়ে জাদুঘরে , শক্তি সঞ্চয় করে মৌলবাদীদের হাতে ছেড়ে দেওয়া মাটি । যা তাদের ইতিহাসকে সম্বৃদ্ধ করত এবং তা থেকেই তারা গড়ে তুলত ঐতিহ্য । বারবার হার হতে বাধ্য মৃক্তমণা স্বাধীনতার স্বপক্ষের । এটা্ও একটা প্রোগ্রামিং লুপ ।
এখন আমি কিভাবে সিওর হচ্ছি ? মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় , আমিও নিয়েছি । অধ্যাপক হুমাযূন আজাদ কে হত্যাচেষ্টার কোন সুরাহা হয় নি । আমরা তাকে জিতিয়ে দিতে পারি নি । পরিণামে সেই আঘাতের সাফল্য খুনীদের খুন করতে সফল করেছিল । কয়েকটি প্রজন্ম ভয়ে ভীত হয়ে থাকে সেই খুনের , আমাদের সেই পরাজয়ের জন্য । তারা যুক্তিকে ভয়ে কুকড়ে যেতে দিয়েছে । যা উল্টাটাও হতে পারত ।
পলাশীর যুদ্ধের পরাজয় না হলে ভারতবর্ষর ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত ।
মারটিন লুথার কিং এর মৃত্যু না হয়ে তার জয় হলে আমেরিকানদের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত ।
ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর মত পরাজয় না হলে ফিলিস্তিনী শিশুদের ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত ।
সক্রেটিসকে বাচানোর লড়াইয়ে জয়লাভ করলে সভ্যতার ইতিহাসটাই বদলে যেতে পারত ।
ন্যায় , নীতি আর স্বদেশপ্রেমের দীক্ষায় দীক্ষিত প্রতিটি মানুষের কাছে দাবি । হারবেন না , পরাজয়ের ইতিহাস কিন্তু কুড়ে কুড়ে খাবে একদিন ।