দেশের বাইরে বাংলাদেশী দূতাবাসের বা কনসুলেট অফিসের সম্মানিত বড়কর্তাদের সাথে দেখা করছেন তো বিনোদন পাইছেন যেমন
* বড়কর্তা যখন শুনল আপনি পড়াশোনা করতে এসেছেন । আপনার একটা কাগজ লাগবে , সে আপনাকে বোঝাবে কাগজটা দেওয়াটা তার কাজ নয় , তার আরও বড় হাতিঘোড়া মারার কাজ আছে । সে, সেই কাজে ব্যস্ত । আপনি উঠে আসার আগে বলবে, আচ্ছা দেখি ।
* এরপর কথা বার্তার এক পর্যায়ে সে বলবে ,আপনি আর কি জানেন , কতটুকু পড়াশোনা করেছেন , আমি বুয়েট থেকে কম্পউটার সাইয়েন্স নিয়ে পাশ করা লোক । এরপর বিসিএস ক্যাডার হয়ে এখানে । ঠিক তখুনি পিয়ন এসে বলবে স্যার কম্পিউটার সারার লোক আসছে । অফিসার মেকানিক কে বলবে , দেখেন তো , বাংলা ফন্ট দেখা যাইতেছে না কেন ? আমার ইমেইল ও সকাল থেকে খুলতেছে না ।
* কাজের কাজ কিছুই হইল না । আপনি বিরক্ত এই অবস্থায় অফিসার বলবে । আমি এম্বাসির সেকেন্ড অফিসার, মন্ত্রী মর্যাদার , আপনারা ভাবেন আমরা কোন কাজই করি না । দেখেন হাতে কত কাজ । এত কাজ করেও আপনাদের মন পাই না । যান , সামনের সপ্তাহে আইসেন । পরে দেখবনে । এই বলে ফোনে বলবে , হ্যালো হানি ,আমি আসছি । গরুর মাংস ? বাহ আসতেছি আমি , বেশিক্ষণ লাগবে না । স্যার বাইর হইলেই আমি রওনা হব ।
* আপনি তার রুম থেকে বের হতেই আর কোন পিয়ন কাম স্বঘোষিত অফিসার বলবে , এই কাজের জন্য স্যারের কাছে যাওয়া লাগে ? আমারে কইতে পারলেন না ? আমি এইসব ই করি , বুঝলেন ? ঠিক তক্ষুনি ভিতর থেকে ডাক পড়বে পিওনের , সে ইয়েস স্যার বলে দৌড় লাগাবে । পরে জানবেন তার কাজ শুধুই চা পৌছে দেওয়া , ঘর ঝাট দেয়া ।
* পরের সপ্তাহে যাবেন ঠিক এই ঘটনাগুলাই লুপ আকারে ঘটতে থাকবে । উপরি পাওনা , আপনাকে শুনতে হতে পারে , এম্বাসিতে আমরা কারও ব্যক্তিগত কাজের জন্য বইসা থাকি না ।
হালারা কেন বইসা থাকে , এই প্রশ্ন সাথে করে ব্যর্থ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার ব্যর্থতার কাহিনী বলবেন , বিশ্ববিদ্যালয়ের সামান্য একজন কর্মকর্তা বলবেন , আপনার কাজ আমি করে দিচ্ছি । আর দূতাবাসে যাবার প্রয়োজন হবে না । হেহেহে
সমস্যার সমাধানগুলো আমাদের সবার ভাবনার মধ্য দিয়েই আসবে । আপনার সমাধানটা ?