বিশ্ববিদ্যালয় এর সম্মানিত শিক্ষকদের নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখলে বেশিরভাগ সময় মজা পাই । যেমন ঃ
১) আজ হোলি উৎসব না হলেও তারা সাদা, নীল, লাল নানা রঙ্ এ রঙ্গ করেন । ৭১ এর থেকে কারও কাছে ক্ষমতাসীন দলের লেজ ধরে ক্ষমতাবান হবার লোভ বড় । কার ও কাছে জাতির পিতা বা তার অনুগামীদের সকল অন্যায় কে সংবিধানে ন্যায় ঘোষণা করা উচিৎ/ আর কেউ কেউ তো ৭১ মানেন ই না । শুধু পাসপোর্ট এর জন্য বাংলাদেশ শব্দটা প্রয়োজন হয় ।
২) বেশিরভাগ মনে করেন শিক্ষা পণ্য হওয়া দরকার , না হলে বউ পালা দুস্কর । যারা মনে করেন না , তারা বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি হলে বা ক্ষমতায় গেলে যারা মনে করেন তাদের পক্ষে তরবারি বাইর করেন এবং একমঞ্চে অনশনে নামেন । ( সেই অনশনের নাম বার্গার স্যান্ডউইচ অনশন । মানে সোনারগাওয়ের বার্গার স্যান্ডউইচ ছাড়া সব খাবার নিষিদ্ধ )
৩ ) নীতি , নৈতিকতা , মূল্যবোধ যেখান থেকে শুরু হবার কথা , সেখান থেকেই তারা শুরু করেন , চুরি চামারির প্রথম ধাপ , বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া, নিজের বিশ্ববিদ্যালয় কে কাচকলা দেখিয়ে বছরের পর বছর শিক্ষাছুটিতে দেশের টেকা বিদেশে নিয়া ফুরতি করা । যারা করেন না তারাও তাদের সমর্থনে মিছিল ও বাইর করেন । কারণ কাক কখনও কাকের মাংস খায় না ।
৪ ) সময়মত পরীক্ষা ক্লাস বন্ধ করে গ্রুপ নিয়ে উপাচার্যর চেয়ার নিয়ে কামড়াকামড়ি , রক্তারক্তি , ছাত্র লেলিয়ে সহকর্মী খুন , আবার তারাই মধ্যরাতের টকশোতে লিও তলস্তয়ের বাণী ছাড়েন ।
৫ ) বলেন যে, স্যার নিচের ক্লাসগুলোতে বাংলা , ইংরেজী বা সমাজবিজ্ঞানে অংকের মত মারকিং সিস্টেম হলে ভাল হয় । বলবে , আমাদের তে আপনেরা বেশি বুঝেন ? কোনদিন ভাব সম্প্রসারণ এ ১০ এ দশ পাই নাই । আপনে পাইতে চান কুন সাহসে ?
৬ ) বলেন যে , স্যার রেফারেন্স বই দিলেন না , যা পড়াইলেন তার সাথে পরীক্ষার মিল নাই , পাশ করতে পারে না ছাত্রছাত্রীরা , কলার দুই ইঞ্চি উচা করিয়া বা শাড়ীর কুচি দুইখান বাড়াইয়া জবাব দিবে ,. আমার কোরসে বা সাবজেক্টে সরবোচ্চ ১০ জন পাশ করে ।
আরে বাবা তোরা যদি আগেই ভাইবা থুইস যে ১০ জন পাশ করব তো তোর বাপের ভারসিটির টিচার হ । যদি রং খেলার সখ হয় তো রাস্তায় খেল , জনগণের টেকায় বানানো বিশ্ববিদ্যালয়ের মইদ্যে বান্দর হইয়া ঝুইলা সার্কাস দেখাইতে কেডায় কয় ?
সবাই নিজের গায়ে নিবেন না