নবী রাজ দুলারী মা ফাতেমাতুজ জহুরা খাইরুন্নেচ্ছা জান্নাত রা এর জন্মশুভক্ষন ।
*******************************
মদিনায় ফুটে রবি ইসলামের
হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহেওয়াচ্ছাল্লাম এর নুরের জ্যুতি
রহমতের সওদা হয়ে হেদায়েত পৌঁছে যায় মানবের দিলে ।
একদিন প্রত্যুসে নবী রাজ দুলারী মা ফাতেমা রা আনহুম পিতা নবী পাক সা এর সন্ধান না পেয়ে
মদিনার অলি গলি পাহাড় মরু চষে বেড়ায় , নয়নে তার রহমতের স্নিগ্ধ শানিত অশ্রু বহমান ।
ইমাম হাছান হুসাইন , হজরত আলী রা সহ মদিনার সাহাবাগন
বিচলিত , কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা , তবে কি শত্রু হস্তে আক্রান্ত ? জিজ্ঞাসার তমাসাব্রিতা প্রহয় আর যেন কাটেনা ।
একদিন দুইদিন ক্রমান্বয়ে তিন দিন গত হয় ,।
মা ফাতেমা আউলা কেশে রোধন ও বেশে ছুটে সন্ধানে ।
হেরা পর্বত বৃক্ষ শোভিত বনরাজি নিরব নিথর স্তব্দ , পশু পঙ্কি কুল নিজ নিজ অবস্থানে থেকে ঝরায় নয়নে বারী ।
রাখালেরা তায় দাড়িয়ে ঠায় বিসন্ন বধনে আঁকে সকরুণ চিত্র ।
দেখে জগত জননী সিজদায় লুটায় উম্মতের কাণ্ডার আল্লাহর
হাবিব হেরা গুহায় । মুখে তার বানী ইয়া রাব্বি উম্মতি ইয়া রাব্বি
হাব্লি উম্মতি , হে খোঁদা তুমি আমার উম্মতকে বাঁচাও । রোধন
বেদনায় আকাশের বুক ফেটে ঝরে জল ।
ঝর্না , তরু পত্র ফল সবারই কর্ণ কাষ্ঠে আজ বিষাদের ছায়া ,কারন আল্লাহর হাবিব লুটায় আজি ধুলির ধরায় । আল্লাহর সিংহাসন প্রকম্পিত হয় । মা ফাতেমা বাবার শিয়রে দ্বারায়
মাথা উটাও হে আল্লাহর পয়গম্ভর মানুষের মুক্তির দুত , আজি
৩ দিন ৩ রাত ধরে ঘর ছেড়ে পাহাড়ে কার লাগি কর রোধন ।
আবারও বক্ষে বহে হাহাকার , এবার মা ফাতেমা করে চিৎকার
উম্মতের গোনাহ মাফ চাহিয়া সারা জনম গেলা কাদিয়া , হে
পিতা তোমার উম্মতের নাজাতের লাগি আমি জগত জননী
হাসরের মাঠে মাথার ওড়না দেব তা হবে দুযখ থেকে রহমতের ছায়া , মাথা উটাও তাও যদি না হয় তোমার উম্মতের নাজাতের
লাগি আমার প্রানাধিক দুই পুত্র হাছান , হুসাইন এর জীবন দেব
উৎসর্গ করে ।
মাথা উটাও তাও যদি না হয় দেব মিজানের পাল্লায় মোর রহমতের জান্নাতি কেশ ।
আকুল নয়নে শীর মোবারক উত্তোলনে হযরত স্নেহের পরশ লভে মা ফাতেমার কুলে , আসে ধিরে ধিরে সকলে নবীজীকে
লয়ে আবার যায় বয়ে সোনার মদিনায় ।
পিতার আদর্শে সাধারন সহজ , সরল , জীবন যাপনে অভ্যন্ত ছিলেন তিনি , সারা জীবন কাটিছেয়েন দারিদ্রতার সাথে মোকাবেলা করে , ইসলামের ৪ তুরথ খলিফা হজরত আলি রা ছিলেন তার স্বামী ।
একদিন মা ফাতেমা নামাযে রত , নবী পাক সা দেখলেন তার মেয়ের শরীরের কাপড় শতচ্ছিন্ন । তিনি গাঁয়ের চাদর মা ফাতেমা কে দান করলেন এবং বললেন নামায শেষে জায়নামাজের নিচে দেখ গলিত স্বর্ণ হিরা জহরত যা দিয়ে অর্ধেক জগত কেনা যাবে । মা ফাতেমা নয়নের জল ছেড়ে দিয়ে বললেন
এ সম্পদ কি আমার এবং আপনার উম্মতের জন্য আখেরাতে
নাজাতের ফয়ছালা হবে , নবীজী বললেন না ।
মা ফাতেমা বললেন যে সম্পদ জান্নাতের মুক্তি হয়না তা আমি চাইনা , আর যে সুখ শাফায়াতের মুক্তি না হয়ে ভুগ বিলাসে শয়তানের দুযখ হয় তা থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত রাখুন ।
নবীজী খুব খুশি হলেন ।
মা ফাতেমা রা পর্দান শীল এবং জান্নাতি রমনি , যারা মা ফাতেমা
রা এর মত জিন্দেগী পালন করবে এ সম্পর্কে নবীজী বলেন তারা
মা ফাতেমার সাথে বেহেস্তি ।