অপেক্ষার শূন্যতায় ভীষণ নিঃস্ব আমি
ক্ষয়ে যায় প্রাসাদ –
কি করে থাকে প্রাণের মেলা!
ছুঁয়ে থাকার আকাঙ্ক্ষাগুলো ভীড় করে বাড়িয়ে তোলে বহুবছরের ক্ষোভ,
বিফল হয়ে যায় সহস্রাব্দ প্রণয়
মৃত্যুর আলিঙ্গনও প্রিয়তর মনে হয় !
প্রাপ্তি-প্রত্যাশা, পাওয়া-হারানোর হিসেব
কান্নার করুণ সুর, শুনতে পায় কি কেউ !
বুকের ভেতর অজস্র কবিতা জমে পার হয়ে যায় সময়
নিরব রাতের বুকে সোডিয়াম আলোতে জেগে থাকা প্রহর
‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ বারে বার কে যেন ডেকে কয় !!
ভিজে চুল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল
নরম তোয়ালে জড়ানো আদুরে শরীর!
না স্বপ্ন নয়...
সে এক অলিক আত্না! বেলা- অবেলায় দেখি যাকে !
স্বমেহন রতিসুখ...
দিন সন মাসের হিসাব থাকেনা,
শুধু মনে পড়ে রোজ, রোজ নয় প্রতিক্ষণ , প্রতিমুহূর্ত
দেখে যাই তার সম্পূর্ণ নগ্ন রুপ !
হ্যাঁ,অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখেছি সে মায়াময় রূপ !
কি দুর্লভ !
সুখ-অনুভূতির কি যন্ত্রণাময় সেই রূপ!
দুচোখ ভরে দেখি তাকে, ভূমিকম্প হয় সমগ্র আমিতে
বলতে ইচ্ছে করে কত কথা, বলতে পারি কই !
তাঁর ভেতরেই যে আমি রই!
অপলক তাকিয়ে রই,
সত্য সে, আমার পবিত্রতা..
তাই পাপ বোধ ছিলনা--
দ্রুত বুকের ওঠানামায় লুকানো প্রতীক্ষার অবসান
কোথায় সেই অলিক আত্না!
হায় অধরা হয়ে রয়!!