একাকী একজন--
দীর্ঘ রাত্রির নিস্তব্ধ প্রহরে
মুখোমুখি হই স্বপ্নাহত দিনলিপির
দুঃস্বপ্নের বীর্যে বেদনার গর্ভে জন্ম নেয়---
কি অসহ্য হাহাকার!
কৃষ্ণপক্ষের মধ্যরাতে শরীরের নেশায় বুঁদ হয়ে
একজনই বলেছিল-এসো শিখিয়ে দেই ভালোবাসা কি...
এড়াতে পারিনি সেই কামার্ত আহবান,
তাই গিয়েছিলাম ভীরু পায়ে--পেরিয়েছিলাম নিষিদ্ধ সব দরজা,
অজস্র পাপগ্রস্থ জানালা; অবাক আমি নীরব খেলাতে,
গোপন মেলাতে-আপন খেয়ালে,
বিলীন হয়েছিলাম সেই সর্বনাশা রাতে !
ছুঁয়ে দিলে কপাল থেকে পায়ের আঙ্গুল পর্যন্ত--
বুকে জড়িয়ে রাখলে দীর্ঘক্ষণ !
কি ভয়ংকর সর্বনাশা ভালোবাসা দেখেছিলাম
তোমার দু'চোখের তারায় আর বুকের পাঁজরের গভীর খাঁচায় !!
কামনার আগুন সেদিন তুমিই জ্বেলেছিলে
নাজুক গোলাপের পাপড়ির মত আমার সমগ্র সত্ত্বায়!
অশরীরি তোমার আগমনে আন্দোলিত হয়ে
নিজেকে সাজিয়েছিলাম টকটকে লাল রঙে
আমি শুধু কান পেতে শুনেছিলাম চুমুর আহ্বান,
অতঃপর আমিও ঠোঁট বাড়ালাম
ভালোবেসে সেই থেকে পুড়ছি আগুনে, একাকী !
অনন্ত বিষাদের দৃষ্টিতে নির্বাক চেয়ে থাকা
আজ আমায় নেশাগ্রস্থ করে রাখে;
স্মৃতিটুকু রাখতে দিলে আমার কাছে-
দু'জনার স্মৃতি একাই বয়ে বেড়ানো
কি কষ্ট, বুঝতে পারো কি?
মৃত স্বপ্নরা অভয় দিয়ে বলে যায়--ফিরে আসবে সে,
কিচ্ছুটি হারাবে না!
তবুও হারায় সব,
যাতনা বাড়ায় অহর্নিশি!
কবিতাটির আবৃত্তি
কবিতার আবৃত্তি
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৬