বিম্পি'র রাজনীতির সর্বশেষ সংযোজন তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবীতে সুবিশাল লংমার্চ। আজ এক গর্বিত বিম্পি কর্মীর মুখেই শুনলাম লংমার্চের গল্প। মার্চে ছিল প্রায় সাতশ' প্রাইভেট কার! উক্ত মহাবিস্তৃত কর্মসূচীতে কিন্তু মেডামের উপস্থিতি ছিল না, তা বালুর ট্রাকে পথরোধের জন্য হোক কিংবা তার স্বাস্থ্য সমস্যার জন্যই হোক। শুনতে শুনতে মনে পরে কোথায় যেন পড়েছিলাম সেই আমলে ৯৪-৯৫ বয়সী এক বিশেষ নেতা ফারাক্কা বাধের অভিমুখে লংমার্চে গিয়েছিল পায়ে হেটে। পরে অনেকের অনুরোধে গাড়িতে চড়তে বাধ্য হয়। বুঝলাম, '৭৪ আর ২০১৪ এর মাঝে দূরত্ব অনেক!
আরো আছে, কেউ কেউ সাথে করে খাবার নিয়ে গিয়েছিল লংমার্চে, কিন্তু সে খাবার তাদের খাওয়া হল না। কিভাবে হবে? পথে পথে ফাইভ স্টার হোটেল, বগুরার বিম্পি নেতার নিজের হোটেলে বুফে লাঞ্চ। সেখানে ঘরে বানানো খাবার আর মুখে রোচে না। তারপর তাদের থাকার জন্য আবার ১০-১২ তলা আবাসিক হোটেলেরও ব্যবস্থা হয়ে যায়। ভাবছি, এই দেখেই কি ভারত সরকার ভয়ে তিস্তার পানি ছেড়ে দিল? স্ট্রেইঞ্জ!
এদিকে ছাগুনেতারা দলে দলে "লীগ অফ সেডোও"তে যোগ দিয়ে চলেছে। এর সম্পর্কে সবচেয়ে ল্যাটেস্ট খবর পাওয়া যাবে আজকের পত্রিকাতেই । জানা যায় ম্যাট্রিক্স মুভি-খ্যাত সেই লাল রং-এর চেতনার বড়ি খাইয়ে তওবা পাঠ-পূর্বক তারা "লীগ অফ সেডোও"তে যুক্ত হন। এই বড়ি খাওয়ার মাধ্যমে তারা সরকারের অশেষ কৃপা লাভের শক্তি লাভ করে। তারা "আয়রন লেডি"র ছায়াতলে আশ্রয় লাভের সুযোগ প্রাপ্ত হয়। এখন থেকে এমনকি হিন্দুদের পল্লীতে হামলা করলেও এমনকি চোরঞ্জিত সেনও কিছু বলবে না তাদের। "লীগ অফ ছাত্র" কিংবা "লীগ অফ যুব" সকলেই তাদের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করবে। নিষিদ্ধ হওয়া ছাগু সংগঠন থেকে নিস্কৃতি পেয়ে তারা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল।
তিনটি বাড়ির মালিক সাম্যবাদী নেতা ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন বলে বেশ দৃষ্টি নন্দন এক নিউজ আজকের পত্রিকায় চোখে পরল। তবে বলে রাখি, সেটা কেবল ছোটখাট একটা আলোচনা অনুষ্ঠান মাত্র, আর কিছু না। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে মন্ত্রীর কিছু বলার দরকার ছিল, তিনি বলেছেন। শুধু এতটুকুই। তিনটি বাড়ির মালিকের অ ধরণের বক্তব্য ধর্তব্যের মাঝে পরে না বলেই মনে হয়, লোকে তো কত কি-ই বলে।
এদিকে এই গরমেও ডাক্তার ও সাংবাদিকদের ভিতর সংঘর্ষ বেশ উত্তাপ ছড়িয়ে চলছে। সম্ভবত এর জন্যই দেশের তাপমাত্রা কয়েকদিন থেকে আশংকাজনক পর্যায়ে ছিল। তবে অবাক করা বিষয় হল এ পর্যন্ত দেশের বড় দুটি দল এ নিয়ে একে অপরের উপর কোনরূপ দোষ চাপায়নি বলে জানা গেছে। এমনকি তথাকথিত বিরোধী দলীয় নেত্রীও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশে বিরত থেকেছে।
সম্ভবত সকলের দৃষ্টি এখন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে মোদী-রাহুল-মমতাদের রাজনীতির দিকে চলে গেছে বলে এই অধপতন।