মনে আছে একবার ভারতের এক রাজনীতিবিদ এবং একাধারে একটি বিখ্যাত ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মন্তব্য করেছিল যে বাংলাদেশে ভুটানী স্টাইলে সামরিক আগ্রাসন চালানো উচিৎ। এ ব্যাপারে দেশের সরকারের প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক না কেন, সেই লোককে তার লেকচার দান থেকে অব্যহতি দেয়া হয় ইউনিভার্সিটি থেকে। এখন শুনা গেল ভারতের বিজেপি’র অন্যতম শীর্ষ নেতা সুব্রাহ্মণিয়ম স্বামী মুসলমান পুনর্বাসনের নামে বাংলাদেশের খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত এক তৃতীয়াংশ দাবী করেছে।
একটা স্বাধীন দেশের সম্পর্কে এইরকম একটা বক্তব্যের ন্যূনতম প্রতিবাদ কি করা যেত না? এখন পর্যন্ত সরকারের কাছ থেকে কোন সাড়া পাওয়া গেল না এ ব্যাপারে। বড়ই হতাশ হলাম।
তবে যাইহোক, গুনীজনেরা বলে, "সবকিছুকে নেতিবাচক হিসেবে দেখা ঠিক না।" তাই তাদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কিছু পজিটিভ দিক চিন্তা করে দেখি।
যেমন বাংলাদেশের এক কি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ নিজেদের ইন্ডিয়ান ভাবতে পছন্দ করে। তারা ক্রিকেটে ভারতের জইয়ে উল্লাস করে, হিন্দি এবং কোলকাতার সিরিয়াল দেখতে ভালোবাসে, ইন্ডিয়ার কোন সিনেমা অস্কার পেলে খুশি হয়...এমনকি ফেবুতে দেখলাম আমার বন্ধুমহলেরও দু'একজন নরেন্দ্র মোদী'র ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়েছে। যদিও ঐ পেইজে চেনাচুর, বিস্কুট, চকলেটের বিজ্ঞাপন টাইপ কিছু পোস্ট ছাড়া দরকারী কিছু নেই। এই মানুষগুলার কথা মাথায় রেখে এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো যেতেই পারে।
এটা তো গেল একটা দিক, এবার একটু টেকনিক্যাল ব্যাপারে আসি। বিগত দুই যুগ ধরে দেশের মানুষ এবং সুসীল সমাজ দুই পল্টিকাল পার্টি - আম্লীগ আর বিম্পি'র কার্যকলাপে যারপরনাই বিরক্ত। একদল মনির পোড়ায় তো আরেক দল পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতি করে। এই পরিস্থিতি থেকে তারা মুক্তি চায়, একটা নতুন বিকল্প তৃতীয় শক্তি চায়। কেবল বিজেপি এনে দিতে পারে সেই বিকল্প, সেই পরিবর্তন!!! তখন তারা দুই মহিলার চুলাচুলি আর এরস্বাদের লুলামী থেকে কিছুটা হাপ ছেড়ে বাঁচবে!!!
সুতরাং, ugly বার - মোদী ছাড়খার!!