১.এক বানর মাতা তার ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে ব্যস্ততম সড়ক অতিক্রম করছিল। এক স্কুটার চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই বাচ্চাটিকে আঘাত করেন। বাচ্চাটি ঘোরতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে।
ছবিতে আঘাতপ্রাপ্ত মানকি-শাবক পড়ে আছে।
২.ব্যস্ততম নগরীর ব্যস্ততম রাস্তায় ব্যস্ততম মানুষের ভিড়। এমন দৃশ্যে শুধুই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখা ছাড়া খুবই কম মানুষই সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। নর(মানুষ) যেখানে নরকেই সাহায্য করে না, সেখানে বানরকে কি আর সাহায্য করবে। তাই নিজের শাবককে রক্ষার দায়িত্ব প্রথমেই তার মায়ের, আর সে দায়িত্ব সে পালন করছে কোন কিছু পরোয়া না করেই। মানুষ সাহায্য করেছে কি না, কতটুকু করেছে- সে হিসেব দূরে রেখে এই হিসেবটা করে নেওয়া যায়, নরের সামনে একটি ছবি দেখিয়ে দিয়েছে এই বানর।
ছবিতে যান-বাহনের আনাগোনা বাঁচিয়ে বাচ্চাকে তুলে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বানর মাতা।
৩.ইন এভরি স্টোরি দেয়ার শ্যুড বি অ্যা ভিলেন। না হলে কাহিনী রোচক হয় না। এখানে আছে। আগমন ঘটে বিশাল দেহী এক কালো কুকুরের। সামনে এত সহজ শিকার থেকে কে মুখ ফেরায়? কোন মানুষ তো ফেরাবেই না, তাহলে কুকুর কেন ফেরাবে। কুকুর প্রবল আক্রোশে এগিয়ে গেল লাচার বানর শাবকের দিকে। একাকী বানর মাতা ব্যস্ত সড়কের বিপদ ছাড়িয়ে প্রাণপনে আরেক বিপদের সম্মুখীন। বাচ্চাকে বাঁচাতেই হবে। তাই কুকুরকে সরিয়ে দিতে বানর মাতার পালটা আক্রমন।
ছবিতে বানর মাতার প্রবল আক্রমন কালো কুকুরের বিরুদ্ধে। আশেপাশের নরগুলো শুধু মজা দেখছে।
৪.বিশালদেহী কালো কুকুরও দমবার পাত্র নয়। বলহীনও নয়। বানর মাতার আক্রমন উপেক্ষা করে সে তার শিকারের কাছে। বানর মাতাও দমবার পাত্রী নয়। সামনে শাবকের জীবন-মরণের প্রশ্ন। তাই দেহের সবটুকু বলে কুকুরকে আঁকড়ে ধরে সরিয়ে নেবার চেষ্টা। আর স্বভাব সুলাভ নখ-দন্ত শস্ত্রের ব্যবহার চলছে।
ছবিতে শিকারী শিকারের পাশেই। প্রাণপনে বাচ্চাকে বাঁচানোর চেষ্টায় বানর মাতা।
৫.বিধির বিধানে সেদিন বানর শাবকের মউত লেখা ছিল না। না হলে স্কুটারের আঘাতেই মৃত্যু হত। তবে ভাগ্য সুপ্রস্ননও ছিল না। এক বিপদ পেরিয়ে আরেক বিপদ। এখানেও বিধি সুপসন্ন। বিশালদেহী কুকুর পরাজিত হয় বানর মাতার কাছে। পরাজয়ের পরে রণে ভঙ্গ দিয়ে কুকুরের যথারীতি কুক্কুট-দৌঁড় শুরু। বিজয়ী বানর মাতা বাচ্চাকে পাশে রেখে তখন তাকিয়ে আছে পাশের নরগুলোর দিকে। আর দিয়ে গেল চরম এক ছবি টু লার্ন ফ্রম দ্য ন্যাচার।
ছবিতে বিজয়ী বানর মাতা। কুকুরের রণভঙ্গ।
*ছবি হাজারো শব্দ বলে। ছবিকে তাই শব্দে রূপান্তরের আমার সামান্য প্রয়াস। আমার কাছে ছবিটাই জরুরী।
কপি পেষ্ট পোষ্ট। কিন্তু এতো ভালো লাগল যে কপি পেষ্ট না করে পারলাম না। আসল লেখাটি এখানে ।
বি:দ্র: মায়ের সম্মান রক্ষার যে অভিযান শুরু হয়েছে সামুতে তাতে কোথাও কাজে লাগতে পারে এই আশায় রিপোষ্ট করলাম। ত্রুটি মার্জনীয়...
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪২